খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: আট বছর আগে গুলশানের এক জোড়া খুনের মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
হুন্দাই এলইডি কোম্পানির টেকনিশিয়ান জাকিউর রহমান জুয়েল ও তার বন্ধু সবুজকে হত্যার দায়ে দুই পলাতক আসামি কাওসার মোল্লা ও ফরহাদ গাজীর ফাঁসির রায় হয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজার রায় হয়েছে সুরুজ মিয়া ও পলাতক আসামি সুপর্ণার।
ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ ট্রাইবুনালের পেশকার আবুল কালাম আজাদ জানান, যাবজ্জীবনের দুই আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। ওই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাদের আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জাকিউর রহমান জুয়েল ঢাকার উত্তরখানে তার আত্মীয় মরিয়ম বেগমের বাসায় ভাড়া থাকতেন। হুন্দাই এলইডি কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি করতেন তিনি।
সবুজ ছিলেন জুয়েলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেত। সবুজের সঙ্গে আসামি সুপর্ণার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফরহাদ হলেন সুপর্ণার চাচাতো ভাই।
২০১০ সালের ২০ অগাস্ট সুপর্ণার মোবাইল থেকে ফোন করে সবুজ ও জুয়েলকে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর তারা আর ফিরে আসেননি।
পরে সেপ্টেম্বরের শুরুতে গাজীপুরের ভাদুন গ্রামের জঙ্গল থেকে তাদের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় জুয়েলের চাচা মোতালেব হোসেন ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চারজনকে আসামি করে উত্তরখান থানায় এই মামলা করেন।
তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই হাফিজুর রহমান ২০১১ সালের ৩ জুন কাওসার মোল্লা, সুরুজ মিয়া, ফরহাদ গাজী ওরফে ফরহাদ এবং সুপর্ণার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এছাড়া তুহিন মাতুব্বর নামে আরেক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আলাদাভাবে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
আসামিদের মধ্যে সুরুজ মিয়া ও তুহিন মাতুব্বর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সুপর্ণার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে সবুজ ও জুয়েলকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়।
এরপর কাওসার ও ফরহাদ প্রথমে জুয়েলকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে সুরুজ মিয়া ও তুহিন মাতুব্বর মিলে সবুজের গলা কাটেন।
২০১২ সালের ১৮ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে চার আসামির বিচার শুরু করে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১০ জনের সাক্ষ্য শুনে বৃহস্পতিবার রায় দিলেন বিচারক।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ