খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: স্বাস্থ্যখাতে আওয়ামীলীগ সরকারের অভাবনীয় সাফল্যে দেশে আজ কোনো ব্যক্তিকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয় না। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে সরকার কমিয়ে এনেছে শিশু মৃত্যুর হার ও বৃদ্ধি করেছে দেশের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল। সরকার দেশের মাটিতে আধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার ফলে জনগণকে এখন আর বিদেশে পারি জমাতে হয় না।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যকে গণমুখী ও জনবান্ধব করার জন্য ১৯৯৮ সালে দরিদ্র মানুষের প্রতি লক্ষ্য রেখে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালগুলোকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেন ও প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য ১টি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু করেন। ২০০৯ সালে পুনরায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৩ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন।
সব জেলা হাসপাতালকে তিনি ২৫০ শয্যা, যেগুলো ২৫০ শয্যার ছিল সেগুলোকে ৫০০ শয্যা এবং ৫০০ শয্যার হাসপাতালকে এক হাজার শয্যায় রূপান্তরিত করেছেন। এ ছাড়া নতুন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৩৬টি। দেশে এই প্রথম জেলা হাসপাতালগুলোতে কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট, সিসিইউ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।‘স্বাস্থ্য বাতায়ন’ প্রকল্পে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুবিধা তৈরি করা হয়েছে।
বিভিন্ন জনবান্ধব ও গরিব মানুষমুখী কাজের ফলে নবজাতক মৃত্যুর হার বর্তমানে প্রতি হাজারে ২৪ এবং মাতৃ মৃত্যুর হার বর্তমানে প্রতি হাজারে ১.৮১। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের সফলতায় বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
স্বাস্থ্যখাতে সরকারের কার্যক্রম যেমন সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছে, তেমনি বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ