পাবনা প্রতিনিধিঃ আফ্রিকার মালির ডৌয়েঞ্জায় ভয়াবহ আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী সৈনিক মোহাম্মদ রায়হান (৩১) এর দাফন শুক্রবার তার নিজ জন্মস্থান পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সমাশনারী গ্রামে সম্পন্ন হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে রায়হান বিস্ফোরনে নিহত হন।
করমজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঢাকা থেকে রায়হানের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ীতে পৌঁছায়। বগুড়া সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন মাহমুদ রায়হানের বাবা সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জুমআ’র নামাজের পরেই সমাশনারী মাদ্রাসা মাঠে জানাজার নামাজে সমাশনারী সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার শত শত মানুষ অংশ নেন। জানাজার পরে সমাশনারী মাদরাসা সংলগ্ন গোরস্থানে রায়হানের দাফন সম্পন্ন হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের সমাশনারী গ্রামের মোসলেম শেখ ও রহিমা খাতুন দম্পতির ছেলে রায়হান শেখ। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন রায়হান। ৭ বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের সোহানার সাথে রায়হানের বিয়ে হয়। তার দুই মেয়ে ইসরাত জাহান অপি আর নুসরাত জাহান নদী। ছোট মেয়ে নদীর বয়স মাত্র আড়াই বছর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩২ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক রায়হান ২০০৪ সালের ৩ মার্চ যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। যশোর ক্যান্টনমেন্ট এ থাকাকালে তিনি শান্তিরক্ষী মিশনে যান। ১০ মাস আগে আফ্রিকার দেশ মালিতে যান তিনি। আর দুই মাস পরই দেশে আসার কথা ছিল রায়হানের। কিন্তু তিনি আসলেন, তবে লাশ হয়ে। এর মধ্যেই ২৮ ফেব্রুয়ারি ডৌয়েঞ্জায় ভয়াবহ আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনায় রায়হাান সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চার সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ