1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
এসএসসি পরীক্ষার ফল বাতিল হতে পারে ৫০ হাজার পরীক্ষার্থীর - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ১৩ জানয়ারী ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

এসএসসি পরীক্ষার ফল বাতিল হতে পারে ৫০ হাজার পরীক্ষার্থীর

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ মারচ, ২০১৮
khobor24ghonta.com

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: এসএসসি পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সুবিধাভোগী ৫০ হাজার শিক্ষার্থী নজরদারিতে আছে। তাদের ব্যাপারে নানাভাবে খোঁজখবর নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক হলে এসব শিক্ষার্থীর ফল বাতিল করা হবে। এ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রতিবেদন সোমবার মাধ্যমিক ও শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে ফাঁস প্রশ্নের সুযোগ নেয়া শিক্ষার্থীদের ফল বাতিলসহ চারটি সুপারিশ করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনটি উপায়ে ফাঁস প্রশ্নের সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এক, পরীক্ষার দিন ও এর আগের দিন বিকাশ এবং রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যারা অর্থ লেনদেন করেছে। সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা লেনদেনকারী গ্রাহকের তথ্য নেবে মন্ত্রণালয়। এরপর ওইসব গ্রাহকের পরিবারে কোনো এসএসসি পরীক্ষার্থী আছে কিনা তা চিহ্নিত করা। দুই, ফেসবুকের যেসব ক্লোজ গ্রুপে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে সেইসব গ্রুপের সদস্য চিহ্নিত করা। তিন, গ্রেফতার ও বহিষ্কৃত ব্যক্তি, শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব জানান, শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) মূল সহায়তা দিচ্ছে। তারা প্রযুক্তিগত তদন্ত চালাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনও (বিটিআরসি) সহায়তা করছে।

প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে গঠিত মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রতিবেদন সোমবার বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন কমিটির পক্ষে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

৮ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে চারটি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হল- এক, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে তাদের ফলাফল বাতিল করা। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর পাস করা কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেও যদি ফাঁস প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার ফল বাতিল হবে। পাশাপাশি এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। দুই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রশ্নপত্র নেয়ার দায়ে যারা বহিষ্কৃত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। তিন, ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের সঙ্গে যেসব পরীক্ষার্থীর লিঙ্ক ছিল তাদের চিহ্নিত করে ফল বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। চার, কমিটি প্রশ্ন ফাঁসের কারণে কোনো পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে নয়।

কেননা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উন্মুক্তভাবে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। কাছাকাছি কিছু লোকের মধ্যে (ক্লোজ গ্রুপ) প্রশ্ন শেয়ার হয়। ফলে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে অতি নগণ্যসংখ্যক পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ২০ লাখ সাধারণ পরীক্ষার্থীর হাতে প্রশ্ন পৌঁছায়নি। যারা আগ মুহূর্তে সঠিক বা ভুয়া প্রশ্ন পেয়েছে তারা ওই সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের পথে বা কেন্দ্রের সামনে ছিল। এ সময় প্রশ্ন পেয়ে থাকলেও তারা তেমন লাভবান হতে পারেনি। এ কারণে পরীক্ষা বাতিল করা সমীচীন হবে না। কেননা, পরীক্ষা বাতিল করা হলে ২০ লাখ শিক্ষার্থী, তাদের পিতামাতা ও অভিভাবক বিপদে পড়বে। তাছাড়া পরীক্ষা বাতিল করে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে গেলে আবারও যে প্রশ্ন ফাঁস হবে না- সে নিশ্চয়তা নেই। বরং এতে নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ কোটি মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। তাই পরীক্ষা বাতিল না করাই পক্ষে তারা।

এ প্রসঙ্গে সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ১৭টি বিষয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি বিষয়ের এমসিকিউ অংশের শুধু ‘খ’ সেট প্রশ্ন পরীক্ষার সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা আগে ফাঁস হয়েছে বলে কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে। তবে ১ ঘণ্টা আগে মাত্র একটি বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের কথা এসেছে। বাকি বিষয়গুলোর কোনোটির প্রশ্ন পরীক্ষার ৯ মিনিট থেকে আবার কোনোটির সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট আগে ফাঁস হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী লাভবান হতে পারে। কিন্তু তাদের কারণে বাকি সাড়ে ১৯ লাখ শিক্ষার্থীকে কষ্ট দেয়া ঠিক হবে না। এ কারণে আমরা গোটা পরীক্ষা বাতিল করছি না। শুধু যারা প্রশ্ন ফাঁসের সুবিধাভোগী তাদের পরীক্ষা বাতিল হবে।

কমিটি মনে করছে, ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা আগে ফাঁস হলেও যারা প্রশ্ন পেয়েছে তারাও খুব বেশি লাভবান হতে পারেনি। কেননা, ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ বাধ্যতামূলক ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও মোবাইল ফোনে দেশের দু-এক স্থানে অতি নগণ্যসংখ্যক পরীক্ষার্থী প্রশ্ন পেয়েছে। তবে ওই প্রশ্ন সঠিক কিনা, তা যাচাই করা দুরূহ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভুয়া প্রশ্নও ছড়িয়েছে। সেগুলোর পেছনে ছুটে লেখাপড়া না করা কিছু শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারি এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শুরুর দিন থেকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সূত্র জানায়, ১ মার্চ প্রতিবেদন চূড়ান্ত হলেও সদস্যদের স্বাক্ষরে সময় লাগে ৯ দিন। এরপরও দু’জন সদস্যের স্বাক্ষর ছাড়াই সোমবার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST