খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক: কয়েক মাস আগে চোখের মনিতে বেগুনি রঙয়ের ট্যাটু এঁকেছিলেন কানাডার এক মডেল। এখন তিনি বলছেন, বর্তমানে পুরোপুরি চোখ হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। ট্যাটু আঁকার মাস খানেক পরই তিনি চোখে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। শুধু তাই নয়; কমিয়ে এসেছে তার দৃষ্টিসীমাও।
শরীরে পরিবর্তন আনার চরম ভক্ত ছিলেন ক্যাট গ্যালিনজার নামের ওই মডেল। তিনি বলেন, একজন তাকে চোখের সাদা অংশ রঙিন করার জন্য ইনজেকশন নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
যারা অপ্রচলিত উপায়ে শরীরে পরিবর্তন আনতে চায় তাদের কাছে স্কেলেরা স্টেইনিং নামে পরিচিত এ পদ্ধতিটি সম্প্রতি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ঃধঃঃড়
গ্যালিনজারও শরীরের পরিবর্তন আনতে ওই প্রস্তাব লুফে নিয়েছিলেন। চোখ রাঙানোর জন্য তিনি নিজের পছন্দের রঙ বেগুনি বেছে নেন। কিন্তু চোখ রাঙানোর প্রক্রিয়ার দিনই ভয়াবহ ভুল হয়ে যায়। চোখের মনির চারদিকের সাদা অংশে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা বেগুনি রঙ; যা পরে চামড়া ছিড়ে বেরিয়ে আসে। পরের দিনই চোখটি বন্ধ হয়ে যায় তার। এমনকি ভয়াবহ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও দেখা দেয় গ্যালিনজার চোখে।
তিন সপ্তাহ পরও চোখ ফোলা অব্যাহত থাকে। পরে চিকিৎসকরা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত চোখের আলো চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তার।
ঃধঃঃড়
স্কেলেরা স্টেইনিংয়ের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়া শুরু করেন গ্যালিনজার। ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকবার হাসপাতালে গেছেন তিনি; জ্বালা কমাতে তাকে সামান্য অ্যান্টিবায়োটিক ও চোখের ড্রপ দেয়া হয়েছে। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে এবং অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না।’
ফেসবুকে অন্যদের সতর্ক করে দিয়ে কানাডীয় এ মডেল লেখেন, এ ধরনের কাজে আসক্ত হওয়ার আগে দয়া করে সতর্কতা অবলম্বন করুন। আমি চাই না, এ ধরনের ঘটনা অন্য কারো ক্ষেত্রে ঘটুক।
সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।
খবর২৪ঘন্টা/নই