খবর২৪ঘণ্টা.বিনোদন,ডেস্ক: শুধু মাত্র দুবাই নয়, গোটা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সবচেয়ে ধনী বালক সে-ই। রাশেদ বেলহাসা। বয়স মোটে ১৬! তার পাঠানো গাড়ির ভিডিও শুধু সালমান দেখলেনই না, সম্ভবত সেই সব দামি গাড়িতে চড়ে পরের ছবি ‘রেস থ্রি’র শ্যুটিংও করবেন ভেবে ফেলেছেন সালমান ।
সালমানের মনে ধরেছে রাশেদের কাস্টমাইজড ফেরারি গাড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশেদের সঙ্গে সালমানের ছবি প্রায়ই দেখা যায়। সালমান আবার তাকে ‘ব্রো’-ও বলেন! তবে রাশেদের গাড়ির সংখ্যা নেহাত কম নয়। সালমানের ‘রেস থ্রি’ করতে গিয়ে মনে হয়েছে ‘ব্রো’-এর লুই ভিতোঁ প্রিন্ট করা ফেরারিটা নিলে মন্দ হয় না। শোনা যাচ্ছে, রাশেদও এক পায়ে খাড়া ‘ভাইজান’কে গাড়িটা চালাতে দেওয়ার জন্য।
রাশেদ বেলহাসা কনিষ্ঠতম শিল্পপতির পুরষ্কারও পেয়েছে ইতিমধ্যে। আগের বছরই তাকে প্রভাবশালীদের তালিকায় রাখা হয়েছিল একটি সমীক্ষায়। ১৬ বছর বয়সেই এত! রাশেদ ইউটিউবারও বটে। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি হঠাৎ করে লাইমলাইটে আসে রাশেদ। ‘মাঙ্কি কিক্স’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে। তাঁর স্নিকার্সের কালেকশন দেখে চমকে গিয়েছিল নেটিজেনরা। তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাত্রার ছবিও পোস্ট করতে শুরু করে রাশেদ। তার স্নিকার্সের কালেকশনের দাম ১০ লক্ষ ডলারেরও বেশি।
রাশেদ আরও একটা কারণে ইন্টারনেট সেনশেনন। তার বাড়িতে ঘন ঘন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটিদের আনাগোনা। ইনস্টাগ্রামে ১০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রাশেদের। ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার তো তারও বেশি।
বাড়ির খাবার খেতে পছন্দ করে রাশেদ। ফ্যাট জো, উইজ খলিফা, টাইগা, পিটবুল তার প্রিয় র্যাপার। পছন্দের ডিজে, খালেদ। ফুটবল খেলতে সে ভারী পছন্দ করে। শেষ হিসাব অনুযায়ী, রাশেদের সম্পত্তির পরিমাণ দু’শো কোটি ডলারেরও বেশি। তবে পারিবারিক সম্পত্তি থাকলেও, খালেদ নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। ইতিমধ্যেই নিজস্ব সোয়েটার লাইন খুলে ফেলেছে সে। ইউটিউব চ্যানেল থেকেও প্রচুর টাকা রোজগার করে সে।
শুধু ফেরারি নয়, রোল্স রয়েস, রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ, অডি, ল্যাম্বর্গিনি, লিমুজিন, পোরশে, নিসান, ক্যাডিল্যাক সব রয়েছে। বাড়িতেই প্রায় বাঘ, সিংহ, লেপার্ড এবং আরও কত কী যে পুষে ফেলেছে কে জানে! প্রাইভেট পাখিরালয় রয়েছে তার।
কাজেই ‘রেস থ্রি’তে যদি খালেদ কোনওভাবে ঢুকে পড়তে পারে, লাভ হবে ছবির নির্মাতাদেরই। এত ফলোয়ার খালেদের। তখন সবাই সালমানেরও ভক্ত হয়ে যাবে যে!
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ