দুর্গাপুর প্রতিনিধি: দুর্গাপুর পাঁচুবাড়ি শ্রীধারপুর আংরার বিলে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা পানি নিষ্কাশনের দাবীতে উপজেলা (ভুমি) অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও কোদাল চেড়ে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল রবিবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে পৌনের ১টা পযর্ন্ত উপজেলা এসিল্যান্ড অফিসের সামনে প্রায় দেড় শতার্ধীক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক কোদাল হাতে নিয়ে অফিসের সামনে অবস্থান করেন।
অবস্থানরত চাষি নজরুল ইসলাম,শরিফুল ইসলাম, আব্দুল আজিজসহ একাধিক চাষীরা জানান, পাঁচুবাড়ি ও শ্রীধারপুর আংরার বিলে প্রায় ৩ বছর থেকে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করে অসছিলো এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ওই সকল পুকুর খননের ফলে আংরার বিলে প্রায় ১ হাজার বিঘা ফসলি জমি পানি বন্দি হয়ে পড়ে। বর্তমানে ওই বিলে পানি নিষ্কাশন না হওয়ার ফলে জমিতে নামতে পাচ্ছেন না চাষিরা। এঘটনায় একাধিক বার চাষিরা উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পরেও তেমন সুফল পাননি বলেন জানান। সর্বশেষ পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলা ভুমি অফিস হতে গত ২৪ ফেব্রয়ারি ক্যানের করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এঘটনায় অত্র এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা পানি নিষ্কাশনের দাবীতে কোদাল হতে নিয়ে উপজেলা ভুমি অফিসের সমানে অবস্থান নেয়।
তারা আরো জানান গত বর্ষা মৌসুমে ওইসকল পুকুর খননের ফলে পানি বন্দি হওয়ায় আব্দুল কাদের,আব্বাস আলী,মকছেদ আলী,সাইদুর রহমানসহ প্রায় ৩০জনের পানের বরজ পযন্তও পানি ওঠে নষ্টের পথে বসেছে। অত্র এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের কথা মতে তারা বোরো ধান চাষ করার জন্য ধানের বীজ রোপন করেছিলাম দেড় মাস আগে। বর্তমানে ধানের বীজতলার সয়ম পার হয়ে যাচ্ছে। এপর্যন্ত ভুমি অফিস থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমরা বাধ্যহয়ে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা পরিবার বাচাঁনোর জন্য কোদাল হাতে নিয়ে উপজেলা ভুমি অফিসে অবস্থান গ্রহন করি।
অত্র ইউনিয়নর আ,লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর,সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব ও ৪ নং ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম রবি জানান, চাষীরা দীর্ঘদিন থেকে তাদের ফসলি জমি পানি বন্দির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বারবার ওই দপ্তরে ছুটে যাওয়া হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ভুমি অফিস হতে ক্যানেল তৈরীর মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার কথা বলা হয়। সেই সময় পার হয়ে গেলে চাষীরা তাদের ফসলি জমি রক্ষা করতে কোদাল হাতে ভুমি অফিসে অবস্থান করেন। পরে বেলা পৌনে ১টার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এসিল্যান্ড সমর কুমার পাল, চাষীদের আশ্বস্থ্য করলে চাষীরা অবস্থান ত্যাগ করেন।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এসিল্যান্ড সমর কুমার পাল-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাষীরা ক্যানেল খননের জন্য বিক্ষোভ করেনি। রবিবার ক্যানেল খননের দিন ছিলো। চাষীরা আমাকে বলেছিলো তারা সবাই মিলে আমার দপ্তর থেকে আমাকে সাথে নিয়ে তাদের জমি নিষ্কাশনের জন্য ক্যানেল খননের কাজে যাবে। আমি নিষেধ করেছিলাম তার পরেও চাষীরা আমাকে ভালবেসে আমার দপ্তরে এসেছে আমাকে সাথে নিয়ে ক্যানেল খননের জন্য। রবিবার দুপুর থেকে চাষীদের সাথে নিয়ে ক্যানেল খননের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান এসিল্যান্ড।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ