খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: শীতের ঝরাপাতার দিন পেরিয়ে, বসন্ত আসে নতুন দিনের সুবাতাস নিয়ে। এই কথাটি কেবল আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বজনীনও বটে। অথচ সেই বসন্ত দিনের তুষারপাতেই কি না বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা ইউরোপ মহাদেশ।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাঁপছে ইউরোপ। তাপমাত্রা নেমে গেছে হিমাঙ্কের ১৬ ডিগ্রি নিচে। পোল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডের কিছু কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা এখনও মাইনাসের ৪০ ডিগ্রি নীচে।
তীব্র শীতে কেবল গত এক সপ্তাহেই মহাদেশটির ৬ দেশে মারা গেছেন অন্তত ৬৩ জন মানুষ। এর মধ্যে পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে মারা গেছেন ২৩ জন। আর চেক রিপাবলিক ও বেলারুশে মারা গেছে ১২ জন করে। অস্ট্রিয়ার গ্রাজ শহর থেকে ৫ জন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মহাদেশটির বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অসময়ে সাইবেরিয়া হয়ে বয়ে আসা হিম বাতাস ও শৈত্যপ্রবাহই এই তুষারপাতের কারণ। বৈশ্বিক তাপমাত্রা পরিবর্তনের এই সময়ে মেরু মহাদেশটিতে ৮১ বছরের মধ্যে সবচে শীতল আবহাওয়া বিরাজ করছে। যার রেশ লেগেছে ইউরোপেও।
বৈশ্বিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ‘স্যাট২৪’ এর বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্র ও শনিবারে ঠান্ডা কমেছে কিছুটা। তবুও ইউরোপের তাপমাত্রার পারদ এখনও শূণ্যের নীচে। এরমধ্যে আবার উত্তর-পূর্ব ইউরোপে নতুন করে শুরু হয়েছে তুষারঝড়।
ভারী তুষারপাতের কারণে ইউরোপের যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সুইজারল্যান্ড ও পোল্যান্ডের অধিকাংশ বিমানবন্দরে উড়ান বন্ধ রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের রাস্তাগুলোতে চার থেকে ছয় ইঞ্চি তুষারপাতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবে আবহাওয়া দপ্তরগুলো জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তীব্র এই শৈত্যপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ