আজহারুল ইসলাম বুলবুল : রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিতে বোরো ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক ধান ক্ষেত। এরপরে শ্রমিক সংকট আরও দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। অন্যদিকে বাড়িতে ওঠানো ভেজা ধান শুকাতে না পারায় উভয় সংকটে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,উপজেলার,জয়নগর, শ্যামপুর, নওপাড়া, কাশিপুর,আলীপুর নান্দিগ্রাম, কানপাড়া, বখতিয়ারপুর পানানগর, পুরানতাহিরপুর ও গোপালপুর এলাকায় বেশির ভাগ ধান কাঁটা হয়ে গেলেও কোথাও কোমর পানি আবার কোথাও হাঁটু পানিতে ডুবে আছে অনেক জমির ধান।
বৃষ্টির পানিতে জমে থাকা জোকের উপদ্রব থাকায় চড়া মুল্যেও মিলছে না শ্রমিক। কিছু কিছু কৃষক পানিতে দাড়িয়ে ধান কাঁটার চেষ্টা করছেন।
এদিকে কেটে রাখা ভেজা ধানে গাছ গজিয়ে নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে অনেকের। টানা বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় বোরো ধান কাঁটা এবং শুকাতে না পাড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে।
দিনে থেমে থেমে সামান্য রোদের দেখা মিললে অনেক গ্রামের রাস্তায় ভেজা ধান শুকানোর চেষ্টা করছেন কৃষক-কৃাষানি ও পরিবারের সদস্যরা।
নওপাড়া ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন জানান, এই এলাকায় পুকুর খননের ফলে এমনিতেই বৃষ্টির পানিতে পুকুরের পাশের জমি ডুবে থাকে ফলে কৃষকদের অনেক কষ্ট করে ফসল ফলাতে হয়। এখন আবার বৈরী আবহাওয়া। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার জয়নগর ইউপির রসুলপুর বিলের কৃষক রহিম শেখ ও আব্দুল বারী বলেন, ফলন ভালো হলেও বৃষ্টির কারণে নিচু জমির ধান তলিয়ে গেছে। কষ্টের ফসল ঠিকঠাক ঘরে তুলতে না পারলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, এবার উপজেলায় বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ ভালো হয়েছে, আশানুরূপ লক্ষমাত্রা ও অর্জিত হয়েছে। কৃষকদের ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ ধান কাটা শেষ। তবে অসময়ের বৃষ্টিতে মাঠ থেকে ধান সংগ্রহে অনেকটাই বেগ পেতে হচ্ছে।
বিএ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।