খবর২৪ ঘণ্টা, স্পোর্টস, ডেস্ক: ক্রীড়া অস্কার খ্যাত লরিয়াস স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডস বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের মুকুট জিতেছেন রজার ফেদেরার। সবচেয়ে বেশি বয়সে টেনিসের নাম্বার ওয়ান পজিশনে ফেরার পর এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেলেন সুইস কিংবদন্তি।
২০১৭ সালে দু’টি গ্র্যান্ড স্লাম ইভেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও উইম্বলডন জয় করেন ফেদেরার। হাঁটুর ইনজুরিতে ৬ মাস কোর্টের বাইরে থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এরই সুবাদে কামব্যাক অব দ্য ইয়ার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন আইকনিক সুপারস্টার।
এ বছরও শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে। প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে স্পর্শ করেন ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম সিঙ্গেল টাইটেলের মাইলফলক। ৩৬ বছর বয়সে পুনরুদ্ধার করেছেন র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান।
মোনাকোতে তারকাখচিত জমকালো অনুষ্ঠানে পুরো আলোটা কেড়ে নেন ফেদেরার। এ নিয়ে ছয়বার লরিয়াস অ্যাওয়ার্ড জিতলেন তিনি। পাঁচটিই বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের। কামব্যাক অ্যাওয়ার্ড জিতে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘গত বছরটা ছিল অন্যরকম। এটা ছিল স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো এবং আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই যারা আমাকে ফিরিয়ে এনেছে, আমার ডাক্তার যিনি আমার অপারেশন করেছেন, আমার ফিজিও এবং আমার ফিটনেস কোচ।’
রাফায়েল নাদাল, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও সংক্ষিপ্ত তালিকার তিন ব্রিটিশ হ্যামিল্টন, মোহাম্মদ ফারাহ ও ক্রিস ফ্রুমকে টপকে সেরার আসনে বসেন ফেদেরার। উচ্ছ্বাস ঝরে তার কণ্ঠে, ‘এটা আমার কাছে একটা বিশেষ মুহূর্ত।’ টেনিসের প্রতিদ্বন্দ্বী নাদালের প্রশংসা করতেও ভোলেননি, ‘রাফাও (রাফায়েল) চমৎকার একটি বছর কাটিয়েছে। আমাদের লড়াইটা অসাধারণ। কারণ তার মতো একজনের কারণে আমি একজন ভালো খেলোয়াড় এবং এই অ্যাওয়ার্ডটি নিয়ে সেও এখানে দাঁড়াতে পারতো। সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, বন্ধু ও অ্যাথলেট।’
‘এই পুরস্কার গ্রহণ করাটা সম্মানের। সবাই জানে আমি লরিয়াস অ্যাওয়ার্ডকে কতটা মূল্যায়ন করি। তাই আরেকটি জিততে পারাটা হবে চনৎকার। দু’টি হবে অনন্য সম্মানজনক। আমি উচ্ছ্বসিত এবং লরিয়াস একাডেমিকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই।’-যোগ করেন ফেদেরার।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ