দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে বই গেছে কম পাঠদান চলছে টেনেটুনে। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। এবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারনে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জন হয়েছে। এ কারনে পাঠ্যবই ছাপার কাজ দেরিতে শুরু হয়। এসব কারনে এবার শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বই পেতে দেরি হচ্ছে। সব গুলো বই না পাওয়ার কারনে পাঠদানে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
দুর্গাপুরের ৩টি বিদ্যালয়ে গতকাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণীর তিনটি বই পেলেও সপ্তম শ্রেণীর একটি বইও পাওয়া যায়নি। অষ্টম শ্রেণীর তিনটি করে এবং নবম ও দশম শ্রেণীর সব গুলো বই এসেছে। এসব বই তারা তিন দফায় পেয়েছেন।
দুর্গাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারি শিক্ষিকা বলেন, এই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর তিনটি করে বই পাওয়া গেছে। তবে ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর সব গুলো পাওয়া গেছে। কিন্তু সপ্তম শ্রেণীর জন্য কোনো বই হাতে পায়নি আমরা।
দুর্গাপুরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারি শিক্ষক জানান, বই না থাকায় ঠিকঠাক ক্লাস হচ্ছে না। তাঁরা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে ক্লাস নিচ্ছেন। বোর্ডে লিখে দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে যতটুকু পাচ্ছে তুলে নিচ্ছে।
দুর্গাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত ৭ম শ্রেণীর বই ছাড়া প্রায় সব গুলো শ্রেণীর কমবেশি বই আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণীর সব গুলো বই পেয়েছি। বই পাওয়া যাচ্ছে ধাপে ধাপে তাই একটু শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। আমার উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৪ টি মাদ্রাসা ২০ টি মোট ৬৪ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এবার আমাদের বইয়ের চাহিদা ছিলো ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮ শত ৫৫ টা এখন পযর্ন্ত ৮১ হাজার ৮ শত ৮৫ টা বই পেয়েছি আমরা। এ পযর্ন্ত বিতরন করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৮ শত ৮৫ টি বই। তবে আশা করছি ধাপে ধাপে বাকি সব গুলো শ্রেণীর বই পেয়ে যাবো।
বিএ..