মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে মহান বিজয় দিবসে চকউজাল বেহুলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। তারা জাতীয় দিবসকে অসম্মান জানিয়ে নিজেদের খেয়ালখুশি মত একজন ঢাকায় ও অপরজন রাজশাহীতে অবস্থান করেছে।
এছাড়াও ওইদিন জাতীয় পতাকার অসম্মান করে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সাথে জাতীয় পতাকা ঝুলানোর অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সূত্র জানায়, ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা বানু ও জাকিয়া সুলতানা প্রায়ই বিদ্যালয়ে দেরীতে আসাসহ অনুপস্থিত থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (১৬ ই ডিসেম্বর) জাতীয় দিবসকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা বানু ঢাকায় এবং জাকিয়া সুলতানা রাজশাহীতে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ওই বিদ্যালয়ের কর্মরত ৬ শিক্ষকের মধ্যে শ্রাবণী রানী পিটিআইএ প্রশিক্ষণরত রয়েছেন। এছাড়া বাকি ৫ জনের মধ্যে প্রধান শিক্ষক মুকুল চন্দ্র মন্ডল, সহকারি শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, ফাতেমা খাতুন ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকলেও সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা বানু ও জাকিয়া সুলতানা অনুপস্থিত রয়েছেন। ওই দুই শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মুকুল চন্দ্র বর্মণ বলেন, জাকিয়া সুলতানা রাজশাহীতে বসবাস করেন। সেখান থেকে এসে তিনি বিদ্যালয়ের ক্লাস নেন। কিন্তু তাকে না জানিয়েই মহান বিজয় দিবসের দিন সেলিনা বানু ও জাকিয়া সুলতানা অনুপস্থিত রয়েছেন।
জাতীয় পতাকার অবমাননা বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, অন্য কোথাও পতাকা টাঙানোর জায়গা না থাকায় তিনি এটা করেছেন। এ বিষয়ে সেলিনা বানু ঢাকায় ও জাকিয়া সুলতানা রাজশাহীতে অবস্থান করার কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের পারিবারিক সমস্যার কারণে বিজয় দিবসের দিন তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারেন নি। উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. মামুনুর রশিদ বলেন, অভিযুক্ত অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএ..