1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
জমে উঠেছে রাজশাহীর আমের বাজার; তবে দাম বেশি হওয়ায় হতাশ ক্রেতারা! - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ন

জমে উঠেছে রাজশাহীর আমের বাজার; তবে দাম বেশি হওয়ায় হতাশ ক্রেতারা!

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৫ মে থেকে গুটি জাতের আম এবং ২৫শে মে থেকে গোপালভোগ বা রানিপছন্দ আম  বাজারজাত শুরু হয়েছে। তবে আবহাওয়াজনিত কারণে এবার আম নির্ধারিত সময়ে পরিপক্ব না হওয়ায় বাজার এখনো জমে ওঠেনি।  শনিবার থেকে এই জাতের আম কেনাবেচা শুরু হয়েছে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় আমের বাজার রাজশাহীর বানেশ্বর হাটে। একই সঙ্গে কেনাবেচা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গুটি জাতের আমও। তবে গত মৌসুমের তুলনায় এবার সব আমের দাম বেশি বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতারা। গত মৌসুমের তুলনায় এবার প্রতি মণ আম ১ হাজার টাকা বেশি দামে কেনাবেচা হচ্ছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মৌসুমে গুটি জাতের পরে এই প্রথম সুস্বাদু কোনো আম বাজারে উঠেছে।

 এই হাটে প্রকারভেদে প্রতি মণ গোপালভোগ আম বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। আর গুটি জাতের আম প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে।গতবারের তুলনায় দেড় থেকে দুইগুণ দামে এই হাটে বিক্রি হচ্ছে গোপালভোগ। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বলছেন  গতবারের  তুলনায় এ মৌসুমে আমের দাম বেশি। গতকাল(মঙ্গলবার)  রাজশাহীর বাজার গুলোতে গোপালভোগ বা রানিপছন্দ আম খুচরা বিক্রি হচ্ছ ৯০-১২০টাকা কেজিতে।

তবে এই বছর আবহাওয়া ভালো না থাকায় ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আম পাড়া যাচ্ছে না বলেও জানান আম ব্যবসায়ীরা। বাজারে যে গোপালভোগ আম গুলো ইতোমধ্যে  এসেছে সেগুলোর বেশিরভাগই  অপরিপক্ব হওয়ায় খেতে টক বলছেন ক্রেতারা।  এছাড়া অনেকেরই গোপালভোগের চওড়া দাম নিয়ে রয়েছে অভিযোগ।  তবে, আম বিক্রেতারা বলছেন তাপপ্রবাহের কারণে এবার রাজশাহীতে আমের ফলন কম হয়েছে। এজন্য মৌসুমের শুরুতে দামটাও বাড়তি। ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৫ মে থেকেই স্বল্প পরিসরে গুটি জাতের আম বাজারজাত শুরু হয়েছে। তবে আবহাওয়াজনিত কারণে এবার আম নির্ধারিত সময়ে পরিপক্ব না হওয়ায় বাজার এখনো জমে ওঠেনি।

পাইকারি ও বাগান থেকে গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। তবে আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে থেকে ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে।বিক্রেতাদের দাবি, তীব্র তাপপ্রবাহে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেচ ও সারসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় গোপালভোগ আমের দাম এবার একটু বেশি। তবে হীমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি ও লখনা আমবাজারে এলে গোপালভোগের দাম কিছুটা কমবে। জ্যৈষ্ঠের প্রথম দিকে গোপালভোগ আমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই সময়ে  গোপালভোগের দাম  কিছুটা বেশি থাকে। ব্যবসায়ীরা জানান এবার মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে পুরো এপ্রিল কেটেছে তাপপ্রবাহে। প্রচণ্ড তাপে গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়েছে।

তাই ফলন কম। অন্যদিকে আবহাওয়ার তারতম্য থাকায় সব এলাকায় একসঙ্গে এবার গোপালভোগ আম পরিপক্ব হয়নি। এ কারণে একযোগে সবাই এখনো বাগান থেকে আম পুরোদমে নামানো শুরু করেনি। তাই এখন গোপালভোগ সহ গুটি জাতের আমের দাম গতবছরের তুলনায় তুলনামূলক ভাবে বেশি। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে প্রায় সব বাগানেই আম পাড়া শুরু হবে।  বাজারে আসতে শুরু করবে অন্যান্য জাতের আম। আম ব্যবসায়ীরা  আশা প্রকাশ করছেন এইবার তারা আমের ভালো দাম পাবেন। সরেজমিনে  গিয়ে দেখা গেছে, চাষি ও ব্যবসায়ীরা ভ্যান এবং নসিমন-করিমনে করে আম নিয়ে হাটে আসছেন। এসব গাড়িতে ৩০ থেকে ৬০টি ক্যারেট থাকছে। ভ্যান ও ট্রলির ওপর সাজিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে বাজারে মাচা পেতে বসেছেন। অপেক্ষাকৃত পাকা আমগুলো ওপরে রাখা হয়েছে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের আম কেটে দেখাচ্ছেন। অনেকে খেয়ে পছন্দ হলে কিনছেন। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের বাজার হিসেবে খ্যাত বানেশ্বর বাজারের আম বিক্রেতা আনারুল ইসলাম খবর২৪ঘণ্টা কে জানান,” এই বছর গুটি জাতের চাহিদা এখন কম। গোপালভোগ পাইকারিতে মণ দুই হাজার ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দুই হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।’

২৯ মে মঙ্গল রাজশাহী মহানগরীর  হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বল্প পরিমাণে লখনা  (লক্ষণভোগ) ও গুটি (আচারি আম) আম উঠেছে। বানেশ্বর বাজারে গোপালভোগ আম বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে। এক মণ আম বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। বাগানেও বিক্রি হচ্ছে একই দামে। তবে রাজশাহীর সাহেব বাজার, শালবাগান, বাস টার্মিনাল ও নগরীর লক্ষ্মীপুরের ফলের মোকামগুলোয় গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি। অন্যদিকে লক্ষ্মণভোগ বা লখনা বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা এবং শেষদিকে গুটি বা আচারি আম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে।   ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব  রাজশাহীর আম বাগানগুলোতেও পড়েছে। ঝড়ের প্রভাবে বিপুল পরিমাণ আম ঝরে পড়েছে। গতকাল(মঙ্গলবার)  রাজশাহীর বাজার গুলোতে ছিল ঝরে পড়া কাঁচা আমের বিপুল সমাহার। গতকাল  আচারের জন্য  কাঁচা আম পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৭-১০টাকা প্রতি কেজি এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০-৩০টাকা কেজি। বিপুল পরিমাণ আম ঝরে পড়ায় আমার বাজার আরও চওড়া হতে পারে এই আশংকা করছে ক্রেতা -বিক্রেতারা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়ে ছিলেন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় আমের সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ মেট্রিক টন। এ বছর আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে। যার গড় ফলন ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৮ মেট্রিক টন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ‘এবার এই অঞ্চলে বড় ধরনের কোনও ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়নি। তাই কম মুকুল আসলেও যেসব আম গাছে ধরেছিল সেগুলো টিকে গেছে। দাম ভালো পাওয়ায় চাষি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন বলে আশা করছি।’ এইদিকে

তবে, দাম বেশি হওয়ায়  খুচরা বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। তবে, সামনে সপ্তাহে ক্রেতা সমাগম বাড়বে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আম ব্যবসায়ীরা।

এইদিকে,  চওড়া দামের জন্য আম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে হওয়ায় সাধারণ  ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। রাজশাহী সাহেব বাজার এলাকায় গোপালভোগ আম ক্রয় করতে আসা জালাল আহমেদ নামক একজন ক্রেতা খবর২৪ঘণ্টা কে বলেন,”পরিবারের সবার গোপালভোগ আম খুব পছন্দ।  তাই পরিবারের জন্য আম কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু, এইবার আমের দাম শুনে খুব অবাক হয়েছি। কিনতে এসেছিলাম ১৫কেজি আমি কিন্তু বেশি দাম হওয়ায় ৮কেজি গোপালভোগ কিনতে পেরেছি মাত্র।”   তিনি আরও বলেন, ” আমার মতো স্বল্প আয়ের চাকুরের পক্ষে ১০০-১২০টাকা কেজি দরে আম কিনে খাওয়া খুবই কষ্ট সাধ্য বিষয়। ”  আম কিনতে আসা ক্রেতারা আমের বাজার ভালো ভাবে মনিটারিং করার মাধ্যমে দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার দাবি জানান। উল্লেখ্য যে, ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৫ মে থেকে সব ধরনের গুটি আম

নামিয়েছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। ২৫মে   গোপালভোগ বা রানিপছন্দ  আম বাজারে আসলেও বৈরি আবহাওয়ার জন্য  এখনো অনেক আম পরিপক্ব হয়নি। এরপর লক্ষ্মণভোগ বা লখনা ৩০ মে এবং একই তারিখে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি গাছ থেকে পাড়া হবে। এ ছাড়া ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া ও ব্যানানা আম; ১৫ জুন আম্রপালি এবং একই তারিখে ফজলি; ৫ জুলাই বারি-৪ আম; ১০ জুলাই আশ্বিনা; ১৫ জুলাই গৌড়মতি এবং ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম পাড়া যাবে। তবে এই তারিখের আগেও চাষিরা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে আম পরিপক্ব হওয়া শর্তে পাড়তে পারবেন। এর বাইরে বারোমাসি কাটিমন ও বারি-১১ আম সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে।

জ/ন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST