1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বিএনপি সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করতে পারে: কাদের - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ০৩ জানয়ারী ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

বিএনপি সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করতে পারে: কাদের

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১৪ মারচ, ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারাই (বিএনপি) সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করা, নির্বাচিত সরকারের যে অগ্রযাত্রা তা বাধাগ্রস্ত করার জন্য সিন্ডিকেট করতে পারে। আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সংযোগ আছে কি না।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুব মহিলা লীগ এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

সিন্ডিকেট কারা করে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সরকার জনগণের প্রতিনিধি। শেখ হাসিনার সরকারের সব কর্মকাণ্ড জনস্বার্থকে সমন্বিত করে। এখন রমজান মাসে সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে। এখন আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে এসব অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না।

বিএনপি দেশে-বিদেশে নানা অপচেষ্টা করে সরকার হটাতে যখন ব্যর্থ, আন্দোলনে পারেনি, নির্বাচনেও তারা গণতান্ত্রিক নীতির বাইরে বিরোধিতা করেছে। সবকিছুতেই যখন তাদের ব্যর্থতা, আন্দোলন, নির্বাচনে, এখন একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিরোধী দল হিসেবেও ব্যর্থতায় পর্যবসিত যখন, তখন অনেক কিছু জড়িয়ে সরকারের বাধাগ্রস্ত করার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন রমজান মাসে সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে। খতিয়ে দেখতে হবে এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না। তারাই এসব সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করা এবং নির্বাচিত সরকারের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে অপচেষ্টা করতে পারে।সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সংযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে।

বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, চলমান বৈশ্বিক যে পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সংকট সারা বিশ্বে আজকে যে অস্থিরতা চলছে তার প্রভাব প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশেও পড়বে। কথা হচ্ছে সরকার বিষয়টিকে কীভাবে মোকাবিলা করছে। শেখ হাসিনা ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও তিনি বিভিন্নভাবে প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন।

কোন দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিঙ্গাপুরে রুটিন হেলথ চেকআপে গিয়েও তিনি দেখেছেন সেখানে জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ তিনগুণ বেড়েছে। আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হচ্ছে। এখানে সরকার নিষ্ক্রিয় নেই। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ সংকট মোকাবিলায় সময় দিচ্ছেন। আমাদের এখানে কোনো অবহেলা নেই। সরকার সব পদক্ষেপ যথাযথভাবে চেষ্টা করছে। গ্যাস, জ্বালানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মুখোমুখি সারা দুনিয়াতেই। আমেরিকা, ইউরোপ, উন্নত অনুন্নত বিশ্বেও এই সংকট চলছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এই সংকটের মধ্যেও নির্বাচনে আসেনি বিএনপি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে, নির্বাচন যখন হয়েই যাচ্ছে তখন তারা বলেছিল
বাংলাদেশে নির্বাচনের পর মার্চ মাসে দুর্ভিক্ষ হবে। আমাদের ক্রয়ক্ষমতা আছে। এখনই গ্রাম পর্যন্ত আলোকসজ্জা শুরু হয়ে গেছে। একটা লোকও কি না খেয়ে মারা গেছে?

এ সময় মজুতদার ও সিন্ডিকেট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা মজুতদার তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। কারা কোথায় সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং রাজনৈতিক যে সংশ্লিষ্টতা, বিএনপির কোনো যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ সময় সোমালিয়ায় বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, জিম্মিদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুবই সক্রিয়। তাদের ইন্স্যুরেন্সও আছে। দুর্ভিক্ষপীড়িত সোমালিয়ায় আইন শৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতি। এখানে মুক্তিপণ আদায়ই তাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগের কোনো ঘাটতি নেই।

ড. ইউনূস এর সাজা নিয়ে মার্কিন সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি একজন ব্যক্তি। জানতে চাই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কে? তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের আইন আদালত আছে। যা সবার জন্য সমান। এখানে শ্রমিকেরা পাওনা না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আইন আদালত সব দেশের নিজস্ব ব্যাপার।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দাবি তো করতেই পারে। দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু সেটাও তো আমাদের ভেবে দেখতে হবে। সরকার এখানে উদাসীন নয়। এই বিএনপি এখন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বড় বড় কথা বলে, সরকারের সমালোচনা করে। কিন্তু বছরের পর বছর তত্ত্বাবধায়কের মামলা নিয়ে আদালতে তারা আইনি লড়াই করেনি। শুধু বিচারকে প্রলম্বিত করেছে। অসুস্থ হলে হাসপাতালে যেতে হবে। আজকে এটা স্বীকার করতেই হবে, শেখ হাসিনার উদারতায় খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারছেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

জ/ন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST