জ্বালানি সংকট ও ভর্তুকির চাপে এমনিতেই পর্যুদস্ত বিদ্যুৎ খাত। এর মধ্যে ডলার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে এই গ্রীষ্মে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ দুই মাস আমাদের “অফিসিয়াল’ গ্রীষ্মকাল। সেই হিসাবে এই ঋতু শুরু হতে এখনো ১ মাসের বেশি বাকি আছে। ১৪ এপ্রিল বৈশাখ মাস শুরু হবে। তবে, বসন্তের দ্বিতীয় ভাগ চৈত্র মাসেও তীব্র গরম পড়ে। সেই চৈত্রের বাকি আর ৩ দিন। তাই বলা যায়, গরমকাল প্রায় শুরু হয়ে গেছে।
ইতোমধ্যে এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুৎ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যমতে, চলতি মাসে প্রায় ৬৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে। এ বিষয়ে পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের পর্যাপ্ত জোগান নেই। সে কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ও সরবরাহ কমেছে। ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার সময় গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর জন্য দিনে গড়ে ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু পিডিবি সরবরাহ পাচ্ছে ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাস সরবরাহে প্রায় অর্ধেক ঘাটতি থাকায় বিদ্যুতের উৎপাদন কম হচ্ছে। এর ফলে লোডশেডিং হচ্ছে।
গ্রীষ্ম আসার আগেই লোডশেডিং করতে বাধ্য হওয়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক গ্যাসের ন্যূনতম চাহিদা হবে দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। সর্বোচ্চ চাহিদা হবে ১ হাজার ৭৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু এর বিপরীতে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না পেট্রোবাংলা। অপরদিকে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি আমদানির ধারাবাহিকতা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জ/ন