খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: অনেক পরিবারই সদস্য হিসেবে কুকুর বা অন্য কোনও পোষ্য রাখার পক্ষে। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, বাড়িতে পোষ্য রাখলে তা আপনার স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। জানুন কিভাবে?
ভালোবাসা শেখায়: পোষ্য একজন অন্তর্মুখী মানুষকেও প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে৷ তাই যারা অন্তর্মুখী, চট করে অন্যের কাছে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না তাদের জন্য পোষ্য খুবই উপকারী৷ পোষ্য একজন মানুষকে বিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করে৷ আর যেকোন সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল বিশ্বাস৷ এই বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে থাকে একটি সম্পর্ক৷
নো স্ট্রেস: কুকুর বা বিড়ালের মতো পোষ্য ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে৷ সারাদিনের কাজের শেষে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে পোষ্যর কাছে আসলে সব একঘেঁয়েমি দুর হয়ে যায়৷ পোষ্যর সঙ্গে সময় কাটানোর পর নিজেকে অনেক বেশি চাপমুক্ত মনে হয়৷ এর কারণ সেই সময় শরীর থেকে অক্সিটোকিন হরমোনের নিঃসরণ অনেক বেশি হয়৷ যা মানুষের মধ্যে স্নেহপ্রবণতা বাড়িয়ে তোলে৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব স্বামী স্ত্রী কুকুর বা বিড়াল পোষেন তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বা লড়াই খুব কম হয়৷ সবসময় হাসি খুশি থাকেন৷
দায়িত্ব: পোষ্যকে কে বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যাবে? তাকে কে খাওয়াবে? তাকে কেই বা স্নান করাবে? ইত্যাদি ইস্যু মাঝে মাঝেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ তবে এটিকে সম্পূর্ণ নেতিবাচক বলা ভুল হবে৷ কারণ এর ফলে দু’জনের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়৷
ধৈর্য্য: পোষ্যকে যত্ন নেওয়া মুখের কথা নয়৷ অত্যন্ত যত্ন করে রাখতে হয়৷ কারণ তারা বলে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ ফলে হাবেভাবে বুঝে নিতে হয় তাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা? সেটা বোঝার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য্যের৷ কারণ ধৈর্য্য ধরে তাদের পর্যবেক্ষণ না করলে পোষ্যদের সমস্যার কথা বোঝা খুবই মুশকিল৷ ফলে নিজের মধ্যে ধৈর্য্য অনেক বেড়ে যায়৷ সেই ধৈর্য্যই আপনার সম্পর্কে ফেলতে পারে ইতিবাচক প্রভাব৷
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ