রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্ত দেশের চলমান সংকটকে আরও ঘনীভূত করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি একটি নজিরবিহীন ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগ পর্যন্ত ভোটের প্রচার ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি তথা সভা-সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি যেন না দেওয়া হয় সেজন্য তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। মূলত ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে ডামি নির্বাচন আয়োজনের যে অপপ্রয়াস, সেটিকে পৃষ্ঠপোষকতা করতেই অথর্ব ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন এমন জনবিদ্বেষী সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।
তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ ব্যহত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও দাবি আদায়ের সংগ্রামের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নির্বাচন কমিশন নিয়েছে, আমরা আশা করছি, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা এটি প্রত্যাহার করবে।
রিজভী বলেন, নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনী পর্যেবক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশনা পালন করেছে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন। তথাকথিত রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করে নির্বাচনকে কিঞ্চিৎ অংশগ্রহণমূলক দেখানোর যে অপকৌশল এবং সেটিকে বৈধতা প্রদানে দেশি-বিদেশি ভাড়াটে পর্যেবক্ষক এনে দেশবাসীর সঙ্গে যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের এই যৌথ প্রতারণা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোটদানের ন্যূনতম সুযোগটুকু পাননি। বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশের চলমান চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে, ২০২৪ সালের নির্বাচন-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ বলে প্রতীয়মান।
বিএ….