1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
মহাদেবপুরের দেবরপুর ডি.এন.জি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ০৩ জানয়ারী ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

মহাদেবপুরের দেবরপুর ডি.এন.জি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩

নওগাঁর মহাদেবপুরে অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধভাবে
প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে দেবরপুর ডি.এন.জি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মামুন হোসেন বাবু ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে।

এবিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মৃত তবিবুর রহমানের ছেলে মো.শাহানুর আলম অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও এডিসির (শিক্ষা) নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো.মামুন হোসেন ওরফে বাবু ওই বিদ্যালয়ের
শূণ্যপদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন আবেদন করলেও সভাপতি মামুন
হোসেন বাবু ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা যোগসাজস করে গোপনে পাশ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে ১৯ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করে তাকে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা করছেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে যে, ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা এসব নিয়োগ বাণিজ্য বৈধ করার জন্য একজন স্বল্পশিক্ষিত ওই
বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র (৮ম শ্রেণি পাস) মামুনকে সভাপতি করে এসব অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছেন। এছাড়াও মামুন হোসেন ওরফে বাবু ওই বিদ্যালয়ের শূণ্য পদে অফিস সহায়ক, আয়া, নিরাপত্তাকর্মী, নৈশ প্রহরী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জন্য কম্পিউটার অপারেটর/ ল্যাব সহকারি পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তাকে না জানিয়েই নানা অনিয়মের মাধ্যমে সভাপতি নিজে পত্রিকায় এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। কয়েকদিন পরে তিনি বিজ্ঞপ্তি দেয়ার বিষয়টি জানতে পারেন।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, তাকেও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকেও বেশ কিছু অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন সভাপতি। তার দেয়া টাকার চেয়েও অনেক বেশি টাকা নিয়ে অন্য একজনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেয়ার কথা শুনে শেষ পর্যন্ত তিনি আর আবেদনই করেননি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মামুন হোসেন বাবুকে তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দেয়া হলে তিনি বলেন, তিনি কোন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে কারো কাছে কোন টাকা নেননি। তিনি সভাপতি হয়েছেন মাত্র ৬ থেকে ৭ মাস হলো এ সময়ের মধ্যে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কাছে কোনো টাকা নেননি।

মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, আমার দপ্তরে অভিযোগের একটি অনুলিপি দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউএনও মহোদয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো.লুৎফর রহমান বলেন, তার দপ্তরে অভিযোগটি তিনি এখনো হাতে পাননি, অফিসে খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.
আবু হাসান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিএ/

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST