ঢাকা-১৭ আসন থেকে উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীরের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাকে কেউ হারাতে পারবে না বলে এ সময় মন্তব্য করেন এ ইউটিউবার।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর উপস্থিত সংবাদকর্মীদের হিরো আলম বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমাকে হারাতে পারবে না। আর যদি বগুড়ার মতো নয়-ছয় হয়, তাহলে তো বুঝতেই পারছেন সেটা হবে ষড়যন্ত্র। গাজীপুর সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সেই বিশ্বাস থেকে প্রার্থী হয়েছি। তবে বরিশাল সিটির মতো নির্বাচন হলে জিততে পারব না।
এ সময় ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার প্রসঙ্গে আলম বলেন, ‘ঢাকা-১৭ আসনটি এলিট শ্রেণির কথা বলা হচ্ছে। তবে আপনারা দেখবেন ভোটের দিন কয়টা এলিট ভোট দিতে আসে। চার থেকে পাঁচ হাজার ভোট হবে এলিট শ্রেণির। বারবার এলিট শ্রেণির কথা বলা হচ্ছে।থ
তার পেছনে কোনো রাজনৈতিক দল নেই উল্লেখ করে আলম বলেন, ‘অনেকের মনেই এ প্রশ্ন জেগেছে। আমি প্রথম থেকেই একাই লড়াই-সংগ্রাম করছি। আমার পেছনে কেউ নেই। ভবিষ্যতে যদি দলে যোগ দিই, তাহলে বুঝবেন আমার পেছনে কেউ আছে।থ
বিএনপির ভোট পাবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তো ভোটারদের মনের বিষয়। অন্য যে দলগুলো আছে, তারা ভোট দেবে কি-না, এটা ভোটারদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমাকে বগুড়াতে নয়-ছয় করে হারানো হয়েছে। বারবার কেন আমাকে হারানো হচ্ছে। প্রতিবাদ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমার সমস্যা তো আমি খুঁজে পাচ্ছি না। এখানেও আমাকে হারায় কি-না, সেটাই আমি দেখব।
ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বরেণ্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুকের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
দুই বছর আগে ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় রক্তের সংক্রমণ ধরা পড়লে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফারুকের মৃত্যুর পর আসনটি শুন্য ঘোষণা করা হয়।
বিএ/