রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অপ্রীতিকর অবস্থায় ২৭ বহিরাগতকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব বহিরাগতের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবলিশ চত্বর, বদ্ধভূমিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে প্রক্টর অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
প্রক্টরিয়াল টিম সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। তারা ক্যাম্পাসে এসে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে ক্যাম্পাসের বধ্যভূমি চত্বর, ইবলিশের পুকুরপাড়, মমতাজ উদ্দিন কলাভবন, শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনের আমতলায় দিনের বেলায়ও এমন ঘটনা ঘটছে। তাদের বিভিন্ন সময় আটক করা হলেও তারা মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে চলে যাচ্ছেন।
সোমবার অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জন ছেলে ও ১১ জন মেয়ে। তারা নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। রাজশাহীর বাইরের কয়েকজন বহিরাগতও ছিল। তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক করা হয়। তাদের প্রক্টর অফিসে এনে প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে পরিচয় লিখে পুলিশে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, বহিরাগত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির সঙ্গে যায় না। তবে প্রক্টরিয়াল টিম সর্বদা সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। আজ অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে দিনে কিংবা রাতে এমন কোনো ধরনের কার্যক্রম ঘটলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সর্বদা প্রস্তুত প্রক্টরিয়াল টিম।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, ক্যাম্পাসে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আটক কিছু বহিরাগত ছেলেমেয়েকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে কাজ চলছে।