মাদারীপুরের শিবচরে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবক নিহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত সোহেল মাদবরের (৩০) স্ত্রী ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শিবচর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাদল মাদবরের ছেলে সোহেল মাদবর স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে শিবচরের সাতভাগিয়ায় জলিল গৌড়ার বাড়িতে যায়। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে সোহেল শিবচর বাজার থেকে সাতভাগিয়া যাওয়ার পথে কুমেরপাড় এলাকায় রফিকুল ফকির, ফাক্কল মৃধা, আবুল খা, হাবি দরানি, ফারুক মাদবর, বজলু হাওলাদার, জসিম খাসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল সোহেলের গতিরোধ করে। এ সময় তারা গাছের ডাল ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সারারাত আটকে রাখে। পরদিন সকালে ভদ্রাসন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বেপারী তার এক সমর্থকসহ ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি জানতে পেরে হামলাকারীদের কাছ থেকে আহতাবস্থায় সোহেল মাদবরকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেলের মৃত্যু হয়।
মাদারীপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. আনিসুর রহমান বলেন, মামলার পর চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহত সোহেলকে অটো চুরির একটি অপবাদ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ মামলার মূল আসামিকে ধরতে পারলেই হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিএ/