রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শামসুজ্জোহা সরকার বাদশাকে বেতন-ভাতা সহ আর্থিক সুবিধাদি স্ব স্ব কোষাগারে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের আদেশক্রমে কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত চিঠিটি মোহনগঞ্জ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি সনদপত্রের সঠিকতা প্রমান না হওয়ায় কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শামসুজ্জোহা সরকার বাদশার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে জাল সনদপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে গৃহীত সরকারি অংশ ও কলেজের অংশের বেতন-ভাতাদি সহ আর্থিক সকল সুবিধা স্ব স্ব কোষাগারে জমা দানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হলো।জানা গেছে, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক ও বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শামসুজ্জোহা সরকার বাদশা জাল সনদে মোহনগঞ্জ কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ নেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি সনদ জাল বলে প্রতীয়মান হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল হুদা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি পেয়েছি। এখন গভর্নিং বডি সিদ্ধান্ত নিবেন।
গভর্নিং বডির সভাপতি অনিল সরকার জানান, ওই শিক্ষকের জাল সনদে চাকুরী নেয়ার বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এখন বিধি অনুযায়ী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএ/