পঞ্চগড় শহরের পাশে আহম্মদ নগর এলাকায় কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের ঘটনায় মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়ছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশসহ অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে তেঁতুলিয়া-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। বেলা তিনটা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলছিল। জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। এরপরে মহাসড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। এতে আহত হয় বেশ কয়েকজন। তবে গুরুতর আহত ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
এ সময় আন্দোলনকারীরা কয়েকটি দোকান পুড়িয়ে দেয়।
পুলিশ ও সংগঠনগুলোর সূত্রে জানা যায়, আহম্মদ নগর এলাকায় কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের শুক্র, শনি ও রোববার সালানা জলসার আয়োজন করা হয়েছে। জলসা বন্ধ ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় শাখা, সম্মিলিত খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদ, ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি, ইমাম-মোয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতি, পঞ্চগড় কওমি ওলামা পরিষদ ও জাতীয় ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের শত শত লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো বাঁশ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
এর আগে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড় জেলা সম্মিলিত খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি মুফতি আ ন ম আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ মিয়া বলেন, আন্দোলনের বিষয়টি তারা পর্যেবক্ষণ করছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা শুরু থেকে তৎপর ছিলাম, এখনও আছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা কাদিয়ানিদের আহমদ নগর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করেছি।
বিএ/