ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনে ক্রিস হিপকিনস হলেন দল মনোনীত একমাত্র প্রার্থী। ফলে তিনিই জেসিন্ডা আরডার্নের উত্তরসূরি হচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি শনিবার এ কথা জানিয়েছে।
এদিকে হিপকিনস মনোনিত হলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য রোববার তাঁকে পার্লামেন্টে লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেতে হবে। এ দিন স্থানীয় সময় দুপুর একটায় লেবার পার্টির কোর সদস্যরা মিলিত হয়ে তাকে দলটির নেতা নিশ্চিত করবেন। অক্টোবরে সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত তিনি দলটির নেতৃত্ব দেবেন।
লেবার পার্টি থেকে ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের নভেম্বরে তাঁকে কোভিড-১৯ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। করোনা মোকাবিলায় তাঁর নেওয়া পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।
ক্রিস হিপকিনস (৪৪) বর্তমানে দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে দলের সমর্থন পাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী হতে ক্রিসের জন্য আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে গভর্ণর জেনারেলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এরপর গভর্ণর জেনারেল রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষে ক্রিসকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
উল্লেখ্য, জেসিন্ডা আরডার্ন গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। আগামী ১৪ অক্টোবর দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। খবর-এএফপি
বিএ/