1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৮ ফেব্ুয়ারী, ২০১৮
khobor24ghonta.com

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: বিশ্বের কোনো শহর স্থাপনার জন্য, কোনোটা আবার বৃক্ষ বা জলাভূমির জন্য বিখ্যাত হয়। রাজধানী ঢাকা বায়ুদূষণের জন্য এখন আলোচিত। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা ইপিএর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।

পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান-বিষয়ক প্রতিবেদনটি গত ২৩ জানুয়ারি ইপিএ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বিশ্বের ১৮০টি দেশ সামগ্রিকভাবে পরিবেশ সুরক্ষায় কী ধরনের ভূমিকা রাখছে, তা নিয়ে একটি সূচক তৈরি করেছে। তাতে বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৯তম স্থানে নেমে এসেছে। ২০০৬ সালে সর্বপ্রথম ওই সূচকটি তৈরি করা হয়েছিল, সে বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৫তম। অর্থাৎ গত এক যুগে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৫৪ ধাপ নিচে নেমেছে।

বিশ্বের শীর্ষ দূষিত বায়ুর দেশ হিসেবে প্রথমে নেপাল, তারপর পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান ও কঙ্গোর নাম উঠে এসেছে। আর নির্মল বায়ুর দেশ হিসেবে প্রথমে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর রয়েছে বার্বাডোজ, জর্ডান, কানাডা ও ডেনমার্ক।

বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্প থেকে দেশের আটটি শহরের বায়ুর মান প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দুই মাস ধরে ঢাকার পাশাপাশি রাজশাহী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা শহরের বায়ুর মান মারাত্মক ও খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর হলো রাজধানী ঢাকা। এরপর রয়েছে রাজশাহী। বরিশাল সবচেয়ে কম দূষিত শহর হলেও এর বায়ু মানমাত্রার চেয়ে খারাপ, অর্থাৎ আশঙ্কাজনক।

পরিবেশ অধিদপ্তরের দৈনিক বায়ু মানবিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শনিবার দেশের আটটি প্রধান জেলা শহরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বায়ুর মান ছিল সবচেয়ে খারাপ। ইপিএর প্রতিবদেনে একে মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই দিনে ঢাকা ও সিলেটের বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর। গাজীপুর ও চট্টগ্রামের বায়ু ছিল অস্বাস্থ্যকর। রাজশাহী ও বরিশালের বায়ুকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকে বায়ুর এই খারাপ অবস্থা রয়েছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসজুড়ে ওই শহরগুলোর অধিকাংশের বায়ুর মান মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্মল বায়ু প্রকল্পের পরিচালক মনজুরুল হান্নান খান বলেন, শীতের সময় সাধারণত বাতাসে দূষণের জন্য দায়ী ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। রাজধানীসহ দেশের প্রধান শহরগুলোর আশপাশে গড়ে ওঠা প্রায় ছয় হাজার ইটভাটা দূষণের জন্য প্রধানত দায়ী। শীতে এগুলো চালু হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামত বেড়ে যাওয়ায় বাতাস স্বাভাবিকভাবেই দূষিত হয়ে পড়ে।

বায়ুর বৈশ্বিক মানদণ্ডকে অনুসরণ করে পরিবেশ অধিদপ্তর বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করে। বায়ুর মানমাত্রার সূচক ১০০-এর ওপরে উঠলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। বায়ুতে ক্ষুদ্র বস্তুকণা ও চার ধরনের গ্যাসীয় পদার্থ পরিমাপ করে এ সূচক তৈরি করা হয়।

পরিবেশ আইন অনুযায়ী, বাতাসে ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা ‘পিএম ২.৫’-এর মানমাত্রা হচ্ছে প্রতি কিউবিক মিটারে ১৫ মাইক্রোগ্রাম। ‘পিএম ১০’ বা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণার মানমাত্রা ৫০ মাইক্রোগ্রাম।

২০১৫ সালে রাজধানীতে পিএম ২.৫-এর গড় ছিল ৮১ মাইক্রোগ্রাম। ২০১৬ সালে ছিল ৭৬ মাইক্রোগ্রাম। পিএম ১০-এর গড় ২০১৫ সালে ১৪৮ মাইক্রোগ্রাম ও ২০১৬ সালে আরও বেড়ে হয়েছে ১৫৮ মাইক্রোগ্রাম।

দূষণের উৎস

২০১৬ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের কেইস প্রকল্পের আওতায় ঢাকার বায়ুদূষণের উৎস ও ধরন নিয়ে একটি জরিপ হয়েছে। নরওয়ের ইনস্টিটিউট অব এয়ার রিসার্চের মাধ্যমে করা ওই জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার চারপাশে প্রায় এক হাজার ইটভাটায় নভেম্বরে ইট তৈরি শুরু হয়। এসব ইটভাটা বায়ুদূষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী।

এ ব্যাপারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত  বলেন, বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় সরকার নির্মল বায়ুর জন্য শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেই টাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বহুতল ভবন, সড়কে উন্নত মানের ফুটওভার ব্রিজ, অনেক কর্মকর্তার বিদেশ সফর হয়েছে। কিন্তু সরকারি ওই তথ্য প্রমাণ করছে দূষণ কমেনি, বরং বেড়েছে। তিনি বলেন, দেশের বেশির ভাগ ইটভাটায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের কোনো প্রযুক্তি নেই। সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পগুলোর নির্মাণকাজ করার সময় তাতে ধুলা নিয়ন্ত্রণের ন্যূনতম উদ্যোগ বা পানি পর্যন্ত ছিটানো হচ্ছে না।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST