বাংলাদেশকে ২ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ১৫তম আসরের সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা।
বাঁচা-মরার এই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ১৮৩ রান তোলে বাংলাদেশ। লক্ষ্য টপকাতে নেমে শেষ ওভারে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জয় নিশ্চিত করে লঙ্কানরা।
১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে ছিল শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের ষষ্ট ওভারে এবাদত হোসেন প্রথম ওভার করতে এসেই তুলে নেন দুটি উইকেট। তার আগে ২ রানে জীবন পান কুশল মেন্ডিস। তাসকিনের ওভারে শর্ট লেংথের বল এজড হয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে। উইকেট রক্ষক মুশফিকুর রহিম ধরেও গ্লাভসে আটকাতে পারেননি বল। গোটা ইনিংসে মোট চারবার জীবন পাওয়া মেন্ডিস থামেন ৬০ রানের ইনিংস খেলে।
শুধু যে ক্যাচ মিসের কারণেই হেরেছে বাংলাদেশ তা নয়, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওয়াইড আর নো বল দিয়েও হাতছাড়া করেছে ম্যাচ। ইনিংসে মোট ৮টি ওয়াইড, ৪টি নো বল, সঙ্গে তো ফ্রি হিট ছিলই। অথচ শ্রীলঙ্কা কোনো নো বা ওয়াইড করেনি।
কুশল মেন্ডিসের ইনিংসের সঙ্গে দাসুন শানাকার ৩৩ বলে ৪৫ রানের মাটি কামড়ানো ইনিংস বাংলাদেশকে ছিটকে দেয় ম্যাচ থেকে।
শেষ দুই ওভারে যখন শ্রীলঙ্কার লাগে ২৫ রান, তখন ১৯তম ওভার করতে আসেন এবাদত হোসেন। অভিষেকে এবাদত দুই ওভারে ৩ উইকেট নিলেও শেষ দিকে হয়ে ওঠেন বেশ খরুচে।
১৯তম ওভারে এবাদত দেন ১৭ রান, ওভারে ছিল একটি নো বল ও একটি ওয়াইড। ইনিংসের শেষ ওভারে যখন ৮ রানের দরকার, তখন শেখ মেহেদীর ওভারের প্রথম দুই বলে আসে ৫ রান, তৃতীয় বলে দেন নো বল। ওই বলেই দুই রানের সঙ্গে নো বল যোগ হয়ে চার বল বাকি রেখেই জিতে যায় ম্যাচ।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৫১ রানে ৩ উইকেট নেন এবাদত হোসেন। ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ মেহেদী।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাব্বির রহমান ৫ রানে বিদায় নিলেও সাকিব আল হাসান এসে করেন ২২ বলে ২৪ রান।
মুশফিকুর রহিম এদিনও ব্যর্থ, ৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। তবে আফিফ হোসেনের ২২ বলে ৩৯ রানের ইনিংসের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২৭ (২২), মোসাদ্দেক হোসেনের ২৯ (৯) রানের ঝোড়ো ইনিংস আর তাসকিন আহমেদের ১১ (৬) রানে ভর করে ৭ উইকেটে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও চামিকা করুনারত্নে। ১ উইকেট করে নেন দিলশান মাধুশাঙ্কা, মাহেশ থেকশানা ও আসিথা ফার্নান্দো।
বিএ/