নিখোঁজের পাঁচদিন পর কুষ্টিয়ায় গড়াই নদী থেকে সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুর ২টায় নৌপুলিশ ও কুমারখালী থানা পুলিশ কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া গড়াই সড়ক সেতুর (নির্মাণাধীন) নিচ থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া গেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দেন। চেহারা, পরনের জামা-কাপড়, মানিব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র দেখে নিহতের ছোটভাই মাহবুব রহমান মরদেহ শনাক্ত করেছেন। ময়নাতদন্ত করার জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, সাংবাদিক রুবেল জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়াও রুবেল স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। একইসঙ্গে বিএডিসি ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজও করতেন। কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ ব্লক এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে রুবেল।
গত ৩ জুলাই হাসিবুর রহমান রুবেল রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ে তার পত্রিকা অফিসে থাকা অবস্থায় তার মোবাইলে একটি কল এলে তিনি অফিস পিয়নকে বাইরে থেকে আসছি বলে বের হন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক রুবেলের ছোট ভাই মাহবুব রহমান বলেন, প্রতি রাতেই আমরা এক সঙ্গে খেতাম। গত ৩ তারিখে ১১টা বেজে গেলেও যখন আসেনি তখন সাংবাদিকদের জানিয়ে মডেল থানায় জিডি করি।
তিনি বলেন, রুবেলকে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিলো এমন খবর পরিবারের কাছে নেই। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। কুমারখালী থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
এদিকে ৬ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে ওই সাংবাদিকের খোঁজ পেতে মানববন্ধন করেন পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিকরা।
সাংবাদিক রুবেলের স্ত্রী ইতি খাতুন বলেছিলেন, নিখোঁজের দিন রুবেল সারাদিনই বাইরে ছিলেন। বিকেলে তার সঙ্গে একবার কথা হয়। তখন রুবেল তাকে জানান রাতে বাসায় ফিরবেন। আর ফেরেননি।
কুমারখালী থানার ওসি বলেন, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।
বিএ/