নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ও নজিপুর ইউনিয়নে তিনটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা নিয়ে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পত্নীতলা থানায় মামলা হয়েছে। এতে ১১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আড়াই হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো গ্রাম।
এই মামলার প্রধান আসামি ঘোষনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা পারভীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ফারজানা পারভীনের স্বামী মতিউর রহমানসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কমলাবাড় গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, এসব ঘটনায় গ্রামের আড়াই হাজার মানুষের নামে মামলা করেছে পুলিশ। ফলে গ্রামে আর কোনো পুরুষ মানুষ নেই। শুধু মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জেন ছাড়া গ্রামের সকল পুরুষ আত্মগোপনে গেছে। এ অবস্থায় গ্রামের শুধু মেয়ে মানুষের বসবাস। বর্তমানে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে আছে আমাদের। সন্ধ্যা লাগার আগেই মহিলারা যে যার মত ঘরে ঢুকে যায়।
একই গ্রামের লায়লী বেগম জানান, এই গ্রামে ২ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। পুরুষ শূন্য হওয়ার পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঘটনার পর থেকে কমলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর খোলা হয়নি। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টে গেছে পুরো গ্রামের চিত্র।
এরইমধ্যে গতকাল রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে সামনে একটি গেরেজে রাখা আসবাপত্র,সাইকেল সহ বেশ কিছু মালামাল পুড়ে গেছে। গ্রামের মহিলারা জানান পুলিশ আতঙ্কের মধ্যে আগুন লাগানোর বিষয়টি আরো বেশি আতঙ্ক তৈরি করেছে গ্রামের মানুষের মাঝে। এমন অবস্থায় গ্রামের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বিএ/