উত্তপ্ত ও সহিংস হয়ে উঠছে রাজশাহীর পবার বড়গাছি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পবার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বড়গাছিতে বেশি সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাতে এখানে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা একে অপরকে দোয়ারোপ করে রিটার্নিং অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে বড়গাছী ইউনিয়নে নির্বাচনী ক্যাম্পে চেয়ার ভাঙচুরের ও পোস্টার ছেড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ইউনিয়নে বেশির ভাগ এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বড়গাছী ইউনিয়নের সূর্যপুর মোড়ে স্বতন্ত্র (বিএনপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল রানার নির্বাচনী ক্যাম্পে চেয়ার ভাঙচুরের ও পোস্টার ছেড়ার ঘটনা ঘটেছে। সোহেল রানা নৌকা প্রতিকের সমর্থকদের দায়ি করেছেন।
তিনি পবা থানা ও রিটার্নিং অফিসার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে ওই ইউনিয়নের মথুরা গ্রামের মোড়ে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও পোষ্টার ছিড়ার ঘটনা ঘটেছে। নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পিতা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হক জানান, মথুরাই প্রতিপক্ষের লোকজন নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও পোষ্টার ছিড়েছে। এ ব্যাপারে পবা থানা ও রিটার্নিং অফিসার বরাবরে অভিযোগ
দেয়া হয়েছে। তবে ওই এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন, নৌকা ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী একে অপরকে দোষারোপ করলেও হয়তো তৃতীয় পক্ষ ফায়দা নিতে এসব ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। এ ব্যাপারে পবা থানা ও রিটার্নিং অফিসের কর্মকর্তা বলেন, ভোট ঘিরে উৎসাহ, উদ্দীপনা, উত্তেজনা ও শঙ্কা আছে, থাকবে। তবে তা সীমা লঙ্ঘন যাতে না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রখর দৃষ্টি রাখছেন। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জেএন