জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার একটি আবাসিক মাদ্রাসা থেকে ৩ ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। তারা ৩ জনই উপজেলার দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে মাদ্রাসা থেকে তারা নিখোঁজ হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন বিকেলে মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার ৩ শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। মাদ্রাসার পাঠদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলো- উপজেলার সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার (৯), গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভুকুড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন (১১) ও সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্য্য ভানু (১০)।
নিখোঁজ মীম আক্তারের মা হাসিনা বেগম বলেন, মীম আক্তার গত এক বছরই ধরে ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ১৫ দিন আগে মীমকে মাদ্রাসায় রেখে আসি। রবিবার দুপুরে মাদ্রাসার হুজুর মীমের নিখোঁজের খবর দেন। মেয়ের নিখোঁজে ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে।
নিখোঁজ মনিরার বাবা মনোয়ার হোসেন বলেন, ৯ দিন আগে মেয়েকে মাদ্রাসায় রেখে আসি। এখনও মেয়ের সন্ধান পাইনি।
নিখোঁজ সূর্য্য ভানুর বাবা সুরুজ্জামান বলেন, ১৫ দিন আগে মেয়েকে মাদরাসায় রেখে এসেছি। এখন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান মিলছে না।
মাদ্রাসার কর্মচারী ও স্থানীয়দের বরাতে ইসলামপুর থানার ওসি মো. মাজেদুর রহমান জানান, দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ৩ শিক্ষার্থী গত শনিবার রাতে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রোববার ভোররাতে শিক্ষকরা ফজরের নামাজের জন্য তাদের ডেকে তোলে। অন্যদের মতো তারাও নামাজের প্রস্তুতি নেয় কিন্তু নামাজের পর তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান (৪৮), রাবেয়া আক্তার (২৫), শুকরিয়া আক্তার (২৪) ও ইলিয়াস হোসেন (৪৫)।
তিনি বলেন, ওই আবাসিক মাদ্রাসায় প্রায় ৬০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নিখোঁজের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও তাদের খোঁজ মেলেনি।
জেএন