1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে চাওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানয়ারী ২০২৫, ০২:৪ পূর্বাহ্ন

পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে চাওয়ায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৪ সেপটেম্বর, ২০২১
রাজশাহী মহানগরীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়

পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে চাওয়ায় প্রতিপক্ষ কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগরীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর গোরহাঙ্গা এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজিয়া সুলতানা। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলা হয়, রাজিয়া সুলতানার স্বামীর ৮ ভাই ও চার বোন। নগরের মতিহার থানাধীন ললিতাহার মৌজায় তার শ্বশুরের ০.৩৪০০০ একর জমি রয়েছে। ওয়ারিশ সূত্রে সেই জমির মালিক তার স্বামীসহ ভাইবোন। এখানো সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা হয়নি। হঠাৎ তার ছোট ননদ রাবেয়া (৩৫) ও তার স্বামী-হারুন অর রশীদ চতুরতার সাথে শাশুড়ির যোগসাজোশে নিজের নামে লিখে নেয়। রাবেয়া ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখে কৌশলে জমিটি লিখে নেয়। সেটি তারা ২০২১ সালের মার্চ মাসে জানতে পারেন। বিষয়টি জানার পর তার

স্বামী ও ভাই-বোনেরা হতভম্ব হয়ে যান। সে নিজে মুখেও জমিটি তার বলে জানায়। তার স্বামী এবং ভাইবোনেরা তাকে জমি লিখে দেয়ার কথা অস্বীকার করে। জমি উদ্ধারের নাম করে স্বাক্ষর নিয়ে কৌশলে জমিটি লিখে নেয়। তার কাছে জমি ফেরত চাইলে রাবেয়া ও তার স্বামী একের পর এক মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি শুরু করেছে। তার স্বামী জামাল উদ্দীন জমি লিখে না দিলেও রাবেয়া চতুরতার স্বামীর জমির অংশটি দলিলে তুলে নেয়। হারুনের স্ত্রী ও তার ছোট ননদের প্রকৃত নাম রাবেয়া হলেও সে নিজেকে সুফিয়া এবং অন্যান্য নামে পরিচয় দেয় আর্থিক সুবিধা আদায়ের জন্য। অন্যের নাম দিয়ে অভিযোগ করে সুবিধা আদায় করে। তার প্রকৃত নাম রাবেয়া। কোনো স্বামীর সাথেই বনিবনা হয়না। রাবেয়া নিজেকে সুফিয়া ব্যবহার করে প্রতারণা করার কারণে তার বড় ভাই শাহজাহান আলী আরএমপি পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। সেই অভিযোগটি বর্তমানে তদন্তনাধীন রয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী আইনের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। রাজিয়া সুলতানা আইনি সহায়তা দেয়ার কারণে তার উপরও হামলার চেষ্টা করা হয়।

রাজিয়া সুলতানা আরো জানান, গত ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি তার বড় ননদ রোকেয়ার বাড়িতে নাস্তা আনতে গিয়ে দেখেন তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে তাকে মারধর করছে। তিনি প্রতিবাদ করলে তারা তাকেও হেনস্থা করে ও হুমকি দেয়। তিনি প্রাণ ভয়ে ওই বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। তাদের মারধরে আহত তার বড় ননদ রোকেয়াকে উদ্ধার করে স্বজনরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রোকেয়া বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে তিনিও একটি পৃথক একটি অভিযোগ দেন। তার দেয়া অভিযোগের এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। বড় ননদ রোকেয়ার মামলায় হারুন পুলিশের হাতে আটক হয় ও জামিনে বের হয়ে এসেছে। এরপর উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হারুন ও তার স্ত্রী রাবেয়া আরেক ননদ (পুঠিয়ায় স্বামীর বােিড়ত বসবাসকারী) কে দিয়ে তিনিসহ ৭ জনকে আসামী করে মতিহার থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করান। যে মামলায়

৭ হাজার টাকা চুরি ও হারুনকে জখম দেখানো হয়েছে। কিন্ত হারুন পুরোপুরি সুস্থ ও জেলও খেটেছে। হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার দিন থেকেই পুলিশ আসামী গ্রেফতারে তোড়জোড় শুরু করে। ওই একই ঘটনা নিয়ে রাবেয়া খাতুন মতিহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে ও সেটিতে বর্তমান মামলার এজাহারে যা আছে তার কিছুই উল্লেখ ছিলনা। কিন্ত পরে সেটি হয়রানির উদ্দেশ্য জখম ও টাকা চুরির কথা বলে মামলাটি দায়ের করা হয়। একই ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ হয় কি করে? থানা পুলিশ একই দিনের একই ঘটনায় পৃথক পৃথক অভিযোগ গ্রহণ করে। আবার সেটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। গত শুক্রবার ৩ সেপ্টেমবর দুপুর ১২টার দিকে আবার তারা রাজিয়া সুলতানা ও তার জা’দের উপর হামলা করে সেই একই বাড়িতে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো অভিযোগ করেন, জমিটি নিজে একাই ভোগ করার কারণেই শুধুমাত্র এই মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেই এর সত্যতা বের হয়ে আসবে। এছাড়া মামলার বাদী সুফিয়াও অভিযোগের বিভিন্ন স্থানে স্বামীর নাম ভিন্ন ভিন্ন দেখায়। যেসব নাম উল্লেখ করেন সেগুলো হলো, সিরাজুল, মন্টু ও হারুন অর রশীদ ও রেজাউল। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, তার ভাসুর ইয়াছিন আলী, ভাসুর শাহজাহান আলী, দেবর জান মোহাম্মদ, ভাসুরের স্ত্রী আজমিরা ও বড় ননদ রোকেয়া বেগম প্রমুখ।
এ বিষয়ে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, দুই পক্ষই থানায় একটি করে অভিযোগ ও একটি করে মামলা দায়ের করেছে। মোট ২ টি মামলা ও ২টি অভিযোগ রয়েছে। কেউ আইনের আশ্রয় নিলে থানা পুলিশ তা দিবে। মামলা তদন্ত সাপেক্ষেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তদন্ত ছাড়া কিছু করা হয়না। মামলার সুষ্ঠ তদন্ত করা হবে। আর তাদের পারিবারিক বিষয়টি আমার জানা নেই।

এস/আর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST