টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থী শিবিরসহ টেকনাফ ও মহেশখালীতে পাহাড় ধস, পানিতে ভেসে গিয়ে আর মাটির দেয়াল চাপায় ৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জন শিশু, ২ জন নারী ও ১ জন বৃদ্ধ রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে ও দুপুরে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১০ নম্বর ও ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরঘোনা এলাকা এবং মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের উত্তর সিপাহীর পাড়ায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে। এতে উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ৪ শিশুসহ ৬ জন, টেকনাফে একজন বৃদ্ধের এবং মহেশখালীতে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে বসত ঘরে মাটি চাপায় উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১০ নম্বর শরণার্থী শিবিরে তিন শিশুসহ ৫ জন এবং ১৮ নম্বর শরণার্থী শিবিরে খালে পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে ১ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পাহাড় ধসের ঘটনায় আরও ২ জন আহত হয়েছেন।
উখিয়ার ১৮ নম্বর শরণার্থী শিবিরে খালে পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে মারা যাওয়া রোহিঙ্গা শিশুর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহামুদুল হাসান। নিহত ওই এলাকার আলী আহমদের ছেলে রকিম আলী (৫৫)।
স্থানীয়দের বরাতে এসআই মাহামুদুল বলেন, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনায় এলাকায় পাহাড়ি খাদের নিচে বাড়ির উঠানে বসে পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছিল। এসময় আকস্মিক পাহাড় ধসের ঘটনায় মাটি চাপা পড়ে ২ জন। পরিবারের স্বজনরা একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে মাটি সরিয়ে রকিম আলীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এছাড়া মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মহেলখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের উত্তর সিপাহী পাড়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে পড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুর রহমান। নিহত কিশোরী ওই এলাকার আনসার হোসেনের মেয়ে মোর্শেদা বেগম (১৭)।
জেএন