রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সপ্তম শ্রেণির পুড়িয়া স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ১৯ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ১০ জুলাই ভোর রাতে নারায়গঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণের অভিযোগে আশিক আহম্মেদ (২২) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আশিক আহম্মেদ বাঘা উপজেলা মুশিদপুর গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে। অপহরণের অভিযোগে গত ২১ জুন গ্রেফতারকৃত আশিক আহম্মেদের নামসহ আরো ৫জনের উল্লেখ করে বাঘা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা।
এর আগে পুলিশ এ মামলায় উপজেলার মুশিদপুর গ্রামের হজরত আলীর ছেলে সুজন আলী (৩০), হারু আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও ফরিদ আলীর ছেলে হৃদয় আহম্মেদ (২২)। কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সৃত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আশিক আহম্মেদ গত মাসের ২১ জুন মুশিদপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সন্ধ্যায় নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি আসছিল। এ সময় মুশিদপুর গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে আশিক আহম্মেদ (২২) সে তার ৫-৬ জন বন্ধুর সহযোগিতায় ওই ছাত্রীর পথরোধ করে জোরপূর্বক তাকে মাইক্রোতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামীকে করে পরদিন বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রেমের সুত্র ধরে ২১ জুন স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ বা ফুসলিয়ে পালিয়ে নিয়ে যান গ্রেফতারকৃত আশিক আহম্মেদ। এ ঘটনার অপহরণের ১৯ দিন পর ১০ জুলাই শনিবার ভোর রাতে নারায়নগঞ্জ এলাকা থেকে নারায়নগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় বাঘা থানার (ইন্সেপেক্টর) তদন্ত মোয়াজ্জেম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আপহরণকারী আশিক আহম্মেদ কে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিকে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়া ভিকটিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
এস/আর