রাজশাহী মহানগরীতে মসজিদ ভাংচুর সংক্রান্ত মিথ্যা সংবাদ সম্প্রচার করে ধর্মীয় বিষয়ে উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটনানোর চেষ্টার অপরাধে দুই জনকে আটক করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। সেই সাথে আসামীদের দখল হতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয় এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। ২৪ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজপাড়া থানার ডাবতলা এলাকা থেকে মনিরুল ইসলাম সুমন (৪০) এবং বোয়ালিয়া মডেল থানার সাহেব বাজার এলাকা থেকে আসামী রেজা (৩৫) কে আটক করা হয়। এ সময় আসামীদের দখল হতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা, হাঁসুয়া উদ্ধার হয় এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, চলতি মাসে ১৭ জুন রাত সোয়া ৯টার দিকে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার হেতেমখাঁ লিচু বাগান এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মসজিদ ভাংচুরের মিথ্যা সংবাদ স¤প্রচার করে। এছাড়াও ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও হিন্দু স¤প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন মিথ্যা সংবাদ মাইকে ঘোষণা করে এবং স¤প্রাদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে।
ঘটনার পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ওই রাতে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিবারন চন্দ্র বর্মন, পিপিএম এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। এই ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে তদন্তকারী অফিসার এসআই ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিন ও আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিট ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ ও সেই দিনের লাইভ ভিডিও পর্যালোচনা, তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণপূর্বক আসামী শনাক্ত করে। আসামী শনাক্তের পর দুই আসামী মনিরুল ইসলাম সুমন ও রেজাকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা, হাঁসুয়া উদ্ধার হয় এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আরএমপি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এস/আর