রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ডেকে নিয়ে বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার (১৩ জুন) রাতে উপজেলার মিলিক বাঘা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হলে সোমবার (১৪ জুন) তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত ভুক্তভোগী ওই তরুণীর প্রেমিক এখনো পলাতক রয়েছেন।
আটকরা হলেন, উপজেলার উত্তর মিলিকবাঘা এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে তারিক হোসেন (২৭), একই এলাকার সাদেকের ছেলে নাসির হোসেন (২৩) ও বাজুবাঘা এলাকার নওশেনের ছেলে সবুজ আলী (২১)। তারা ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত আল-আমিনের বন্ধু।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে ওই তরুণীকে ডেকে নেন তার প্রেমিক আল- আমিন। আগে থেকেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ডাকে সাড়া দিয়ে চলে আসেন তরুণী। পরে আল-আমিন তার প্রেমিকাকে রাতে তার বন্ধুদের কাছে রেখে যান। এ সময় তার বন্ধু তারিক, নাসির ও সবুজ তরুণীকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি পরে জানাজানি হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয় এবং প্রেমিক আল- আমিনসহ চারজনকে আসামী করে থানায় দায়ের হয় ধর্ষণ মামলা।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ওই তরুণী চারজনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর ওই তরুণীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
এস/আর