হেফাজতে ইসলামের শীর্ষস্থানীয় আরও ২ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারি মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন এবং হেফাজতে ঢাকা মহানগরের সহ সভাপতি ও খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব কোরবান আলী কাসেমী। এই দুজনকে গতকাল মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকালে ও রাতে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারি মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনকে মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মাদ্রাসা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককেও।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ বুধবার যে কোনো সময়ে আতাউল্লাহ আমীনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কোন মামলায় হেফাজতের এই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানাননি র্যাবের এই কর্মকর্তা।
পরে বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব সদর দপ্তর থেকে খুদেবার্তায় জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় পল্টন থানায় রুজুকৃত মামলা এবং ২০১৩ সালের সহিংসতা মামলার আসামি আতাউল্লাহ আমিনকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ডিবি পরিচয় দিয়ে মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী।
তিনি জানান, গত প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে রাহমানিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন।
এর আগে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সহ সভাপতি ও খেলাফতে মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব কোরবান আলী কাসেমীকে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর বাসাবোর বাসা থেকে কোরবান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয় উল্লেখ করে গুলশান বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ডিসি মশিউর রহমান জানান, পুরনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।
গত সোমবার রাতে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রীর বাসায় দেখা করে দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। ওই সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ পর্যন্ত হেফাজতের অন্তত এক ডজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জেএন