নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকা হয়ে রাজশাহীতে এসেছে যাত্রীবাহী বাস। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আরএমপির বেলপুকুর চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাসটি আটকানো হয়। এরপর সব যাত্রীকে নামিয়ে অন্যান্য যানবাহনে পাঠানো হয়। বাসটির যাত্রীরা অভিযোগ করেন, তাদের থেকে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হয়েছে।
বাসের চালক ও হেলপার জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে আরপি স্পেশাল নামের ঢাকা মেট্রো ব-১৫১৪২২ বাসটি ছেড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এটি রাজধানী ও পথে বিভিন্ন জেলা অতিক্রম করে রাজশাহীতে এসে ধরা খায়।
বাস চালক আরো জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে সোমবার রাতে বাসটি রওনা হয়ে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা , নাটোর ও জেলার পুঠিয়া, বানেশ্বর পার হয়ে রাজশাহী শহর দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়ার কথা ছিল। এই জেলাগুলো তারা পুলিশের সাথে কথা বলেই পার হয়েছেন। তবে কোন চেকপোস্টে কত টাকা দিয়েছেন তা তিনি স্বীকার বলতে রাজি হননি। এত ভাড়া নিয়েছেন কেন জানতে চাইলে জানান, এই টাকা তারা নেননি। টাকাগুলো তার বাস কাউন্টার নিয়েছে। কিভাবে এতগুলো জেলার চেকপোস্ট পার হয়ে লকডাউনের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস নিয়ে আসলেন, এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান।
বাস যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে তারা ১৫০০ টাকা দিয়ে বাসে উঠেছেন। আবার কারো কারো কাছ থেকে আরো বেশি টাকা ভাড়া আদায় করা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে নারীও ছিলেন। বাসটি বেলপুকুর চেকপোস্ট ক্রস করার সময় কর্তব্যরত পুলিশ বাসটিকে থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়। এরপর সার্জেন্ট জামান তাদের সবাইকে বাস থেকে নেমে আসার নির্দেশ দেন। পরে বাসটিকে মামলা দিয়ে সবাইকে নামিয়ে বাসটি ফেরত পাঠান। আরএমপির ট্রাফিক বিভাগে সার্জেন্ট জামান বলেন, বাসটি আটক করা হয়েছে। যাত্রীদের নামিয়ে অন্য যানবাহনে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সরজমিনে বাসটিতে উঠে দেখা গেছে, বাসের মধ্যে কোনো আসন ফাঁকা না রেখেই গাদাগাদি করে ৩৮ জন যাত্রী বসানো হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার তোয়াক্কা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, লকডাউনে মধ্যে চলাচলের জন্য সিটিং সার্ভিস বিভাগীয় শহরে চালু করা হয়। কিন্ত দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তারপরও বাসটি গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা বলেন, কিভাবে বাসটি আসলো তা বোধগম্য নয়।
এস/আর