জনবলের অভাবে দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা টেস্টের পিসিআর ল্যাব। হাসপাতালের ল্যাবটি বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে অবস্থিত পিসিআর ল্যাবে। এ ল্যাবটিতে প্রতিদিন ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হতো। গত বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে ২০২৯ সালের ১৯ মে ল্যাবটি চালু হয়।
তার আগে ল্যাবটি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল। এতদিন ল্যাবটির কার্যক্রম স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে চলছিল। সারাদেশ ন্যায় রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ কমে গেলে তারা চলে যায়। এরপর থেকেই ল্যাবটি বন্ধ রয়েছে। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারো তা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জনবলের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। জনবল চেয়ে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি এ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। এরপর যে স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে ল্যাবটি পরিচালনা করা হতো তারা নিজ নিজ পূর্বের কর্মস্থলে চলে যায়। তারপর থেকে ল্যাবটি বন্ধ আছে। তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটিতে এখন চার শিফটে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাসপাতালের ল্যাবটি বন্ধ থাকায় কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় চাপ বেড়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মলিকুলার বায়োলজি ল্যাবের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের বৈজ্ঞানিক এসএম হাসান এ লতিফ বলেন, হাসপাতালের ল্যাবটি যে কোনো সময় চালু করা যেতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে নমুনা কমে যাওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন এটি চালু করতে লোকবল দরকার। জরুরিভাবে চারজন চিকিৎসক এবং চারজন মলিকুলার বায়োলজিস্ট দরকার। এর বাইরে ১২ জন টেকনোলজিস্টও প্রয়োজন। জনবল চাহিদা মিটলেই ল্যাব চালু করা যাবে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, জনবলের অভাবে ল্যাবটি বন্ধ রয়েছে। জনবল চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। জনবল পেলে ল্যাবটি চালু করা হবে।
এস/আর