বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের অফিস দখল নিয়ে সরকারদলীয় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহন ধর্মঘট ঢিলেঢালাভাবে চলছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে লোকাল বাস চলাচল করতে দেখা না গেলেও দূরপাল্লার বাস-ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে পরিমাণে তুলনামূলক কম।
মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরু আলম মোহনকে গ্রেফতারের দাবিতে এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেন বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বগুড়া জেলায় শুরু হওয়া এই ধর্মঘট বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে পালন করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে হামলার পর মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে আমিনুল গ্রুপের লোকজন চারমাথা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করে মিছিল শুরু করেন। পুলিশ বাধা দিলে পরিবহন শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে শ্রমিকদেরকে নিবৃত্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চারজনকে আটক করে। এরপর থেকে চারমাথা ও তার আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ঘটনার পর মোটর মালিক গ্রুপের নেতা আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের সামনে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। এ সময় আমিনুলের বাবা বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল লতিফ মণ্ডল সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
দূরপাল্লার হান্নান পরিবহনের মালিক আব্দুল হান্নান জানান, ফতেহ আলী, একতা, এসআর, হানিফ পরিবহন থেকে শুরু করে সব ধরনের দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। তাই তিনিও বাস ছেড়েছেন।
জেএন