নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীতে ভাড়া বৃদ্ধির নামে অটো চালকরা অরাজকতা শুরু করেছে। এদিন রোববার সকাল থেকেই অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করে অটো চালকরা। আর যারা স্ব উদ্যোগ রাস্তায় অটোরিকশা চালাচ্ছেন তাদের হেনস্থা করছেন এসব চালকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবুও পুলিশের সামনেই তারা কোনো অটো আসলে তাকে থামিয়ে চালককে বাধা ও হেনস্তা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, হঠাৎ করেই আজ রোববার সকাল থেকেই অটো চালকরা অঘোষিত ধর্মঘটে চলে যায়। তারা পূর্বে কোন কিছু না জানিয়েই এ অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করে। এতে রাস্তায় বের হওয়া মানুষরা ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। কারণ প্রয়োজনের তুলনায় অটো ছিল রাস্তায় অনেক কম। এই অঘোষিত ধর্মঘটের মধ্যেও কিছু অটোরিকশাচালক নিজ ইচ্ছায় অটোরিকশা বের করে ভাড়া মারছেন। এটি কোনোভাবেই মানতে পারছেন না অন্যান্য অটো রিকশা চালকরা। এ কারণে তারা বিভিন্ন জায়গায় অটোরিকশা চালকদের দেখলেই বাধা দিচ্ছেন। দুই এক জায়গায় মারধরেরও ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে আরো ব্যাপক এরমধ্যে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। আর যারা অটো চালাচ্ছেন তারাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।
নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, কয়েক দফায় মিটিং করে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। কিন্তু কেন তারা আবার এই অঘোষিত ধর্মঘট করছে তারা আমাদের বোধগম্য নয়। কিছুদিন আগেও মেয়র মহোদয়সহ বসে বিষয়টির একটি সুষ্ঠু সমাধান করা হয়েছে। এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পড়ার আগেই সংবাদ সম্মেলন করে কর্তৃপক্ষ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি বা কোন ধরনের কথা না বলেই ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয় অটো চালকরা। সেই কথা অনুযায়ী ১ তারিখ থেকে ভাড়াও তারা বেশি নেওয়া শুরু করে।
পত্রপত্রিকায় সংবাদ হওয়ায় বিষয়টি রাসিক প্রতিপক্ষের নজরে আসলে অটোরিকশা চালকদের প্রতিনিধি, নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাকে নিয়ে বসে রাসিক মেয়র সুষ্ঠু সমাধান করার আশ্বাস দেন। এরপরেও অটো রিকশা চালকরা আজ রোববার থেকে এ অঘোষিত ধর্মঘট করে। রাহিদ নামের একটা রিকশা চালক অভিযোগ করে বলেন, আমি অটোরিকশার যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলাম । পথে অটো চালকরা আমাকে ধরে যাত্রী নামিয়ে দেয় এবং চালাতে বাধা প্রদান করে। সেই সাথে আমাকেও হেনস্থা করা হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার অনির্বাণ চাকমা বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সুষ্ঠু সমাধান করা হয়েছে। তারপরও তারা কেন এমন করছে সেটি বুঝতে পারছিনা। মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এস/আর