পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানী করতে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর দায়ের কুপে যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার সদর বাজারে।
আহত মো. সিরাজুল ইসলাম (২৫) নামের যুবক উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতকাছিমা গ্রামের আশ্রাফ আলীর ছেলে ও উপজেলা সদরের চরগলির কাপড়ের ব্যবসায়ী। ওই শিক্ষার্থী নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে ওই ছাত্রীটি তাদের বসত ঘরের দোতালায় বসে বই পড়ছিলো। এ সময় ওই যুবক তাদের ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী ওই যুবকের হাত থেকে রক্ষা পেতে ডাক-চিৎকার দিলেও যুবক তাকে ছাড়ে না। তাই নিজেকে রক্ষা পেতে ওই কক্ষে থাকা দা দিয়ে ওই যুবকের মাথায় কুপ দিয়ে নিজেকে
শ্লীলতাহানী থেকে রক্ষা করেন। এ সময় ওই ছাত্রীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই যুবককে মারধর করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মোস্তফা কায়সার জানান, ওই যুবকের মাথায় ধারালো কিছুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নাজিরপুর সদর বাজার সমিতির সভাপতি মো. পান্নু ফরাজী আরটিভি নিউজকে জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ওই ছাত্রীর বাবা তাদের মান-ইজ্জতের কথা ভেবে কোনও মামলা দিতে রাজি হননি। তবে ওই ব্যবসায়ীকে বাজারে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না। তার যুবক পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে ওই যুবক কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. জাকারিয়া হোসেন জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে কোনও মামলা দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেএন