1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
জৈষ্ঠ্য নয় পৌষ মাসেই মধুফল বারোমাসি আমে ভাগ্য বদলাতে চান তিন বন্ধু - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

জৈষ্ঠ্য নয় পৌষ মাসেই মধুফল বারোমাসি আমে ভাগ্য বদলাতে চান তিন বন্ধু

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১
dav

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: জৈষ্ঠ্য মাসের গরম কাল হলে কথা ছিল। জৈষ্ঠ্যের মধু মাসে মধুফল আম যদি পৌষের শিশিরে ভেজা মৌসুমে থাকে আর শীতের সকালে থোকা থোকা কাঁচা আম গাছে ঝুলে থাকে তাহলে কপালে একটুতো ভাজ পরবেই। চোখ কপালে উঠলেও এটাই সত্যি যে বগুড়ার শেরপুরে বারোমাসি আম চাষ শুরু হয়েছে। ৩ বন্ধু মিলে প্রায় ১৮ বিঘা জমিতে প্রায় ৯ হাজার বারোমাসি আম চাষ করে ফলন পেতে শুরু করেছে। এই বারোমাসি আমেই ভাগ্য বদলাতে চান তিন বন্ধু। শীত কালেও আম চাষে সফলতা পাওয়ায় ওই বাগানে আম দেখতে ভীর করছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ারতাইর গ্রামে প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে একটি মিশ্র ফলের বাগান। এরমধ্যে ১৮ বিঘা জমিতে বারোমাসি আম চাষ করা হয়েছে। বাগানে ৯ হাজার আমের গাছ রয়েছে। সেসব গাছে এখন মুকুল শোভা পাচ্ছে। আবার কোন কোন গাছে আম ঝুলছে। বারোমাসি এই আম বাগানটি গড়ে তুলেছে তিন বন্ধু মামুন রশিদ, সোহেল রেজা ও শহিদুল। এদের মধ্যে মামুন ও সোহেল মাস্টার্স এবং শহিদুল এইচএসসি পাশ করেছেন।

ফলচাষী ওই তিন বন্ধু জানান, বিগত ২০০৫ সালে ছোট পরিসরে নিজেদের ৫ বিঘা জমির উপর বাগানটি গড়ে তোলা হয়। পরবর্তীতের আরো ২০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বাগানের পরিসর বাড়ানো হয়। ওই বাগানে প্রায় ১৫ হাজার রকমারী ফলে গাছ রয়েছে। এর মেধ্য বারোমাসি আম কার্টমনও বারি-১১, মাল্টা, পিয়ারা ও কুল বড়ই রয়েছে। অন্যান্য ফলের উৎপাদন ভাল হলেও বারোমাসি আম বিক্রিতে ব্যস্ত রয়েছে তারা। অসময়ে পাওয়া এই ফলের চাহিদাও বাজারে অনেক বেশী। তাই বগুড়া জেলা ছাড়াও আশেপাশের জেলাগুলোতেও পাইকারী ৫০০ টাকা দরে এই আম বিক্রি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই লাখ টাকার আম বিক্রি

করেছেন। আরো অনেক আম এখনো বাগানে রয়েছে। সবমিলে এখন লাভের মুখ দেখছেন তারা। দ্বিতীয় দফায় বড় বন্যা না হলে এই বাগান থেকে প্রায় ডক কোটি টাকা আয় করতেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ফল চাষীরা।
উদ্যেক্তাদের একজন মামুনুর রশিদ বলেন, আমি একজন কৃষকের সন্তান। তাই ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল। কৃষি সম্প্রসারণের পক্ষ থেকে দেশ সেরা কৃষক হিসেবে নির্বাচিত করে আমাকে থাইল্যান্ডে ফুড প্রডাকশন ও

ম্যানেজমেন্টের উপর প্রশিক্ষন নিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে দেশে আসি। সোহেল রেজাও বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি থেকে বারোমাসি আম চাষের উপর প্রশিক্ষন নেয়। আর শহিদুল জীবিকার তাগিদে মালেশিয়ায় গেলেও ২০০১ সালে দেশে ফেরে। পরবর্তীতে আমরা তিন বন্ধু বিভিন্ন নার্সারী থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজেদের ৫ বিঘা জমিতে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলি। এরপর আরো জমি লিজ নিয়ে এ পর্যন্ত এসেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন আক্তার বলেন, বারোমাসি আম চাষীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। বারোমাসি আম চষে করে বেকারত্ব ঘোচানো সম্ভব। অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমাদের দপ্তর থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদার করা হচ্ছে। যদি অন্য কেউ বানিজ্যিকভাবে মিশ্র ফলের চাষ করতে চায় তাদেরকেও একইভাবে সহযোগিতা করা হবে। শিক্ষিত তিন বন্ধুর এই মিশ্র ফলের বাগানটি দেশের মডেল হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST