করোনা মোকাবেলায় এবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া। সোমবার প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে লিখিত এক বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন দেশটির রাজা ইয়াং ডি পারতুয়ান আগং আল সুলতান আব্দুল্লাহ রি-আয়াতুদ্দিন আল মোস্তাফা বিল্লাহ শাহ। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে জরুরি অবস্থা।
এদিক আজ (মঙ্গলবার) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন, করোনা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এটি কারফিউ নয়। এটি সেনা অভ্যুত্থানও নয়। এতে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে না।
ইস্তানা নেগারা থেকে ঘোষিত ঐ বক্তব্যে রাজা বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণে আমরা খুব খারাপ অবস্থানে রয়েছি। অধিক সংক্রমণ রোধে ১৫০ ধারায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলো। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে ১ আগস্টের আগেই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হতে পারে। জনগণকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অধিক সংক্রমণের কারণে কুয়ালালামপুর হাসপাতাল, ইউনিভার্সিটি মালয়া হাসপাতাল শতভাগ পূর্ণ হয়ে গেছে। করোনার চিকিৎসা দেওয়া অন্যান্য হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা অনেক। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে জনগণের সুরক্ষার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে করোনা মোকাবেলায় ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬টি রাজ্যে এমসিও নামে লকডাউন ঘোষণা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, তৃতীয় দফা করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় বেশ হিমশিম খাচ্ছে মালয়েশিয়া। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমণ হচ্ছে, যাদের মধ্যে অভিবাসীদের সংখ্যাই বেশি। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উদ্বেগ জানিয়েছে। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে মার্চ থেকে প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা ৮ হাজার হবে। এরপরই নড়েচড়ে বসে সরকার। যদিও সরকারের এসব পদক্ষেপকে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলের উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন অনেকেই।
জেএন