1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দেলুর ফাঁদে পা দিয়ে মেয়র তাপস ফেঁসে গেছেন: খোকন - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন

দেলুর ফাঁদে পা দিয়ে মেয়র তাপস ফেঁসে গেছেন: খোকন

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন মনে করেন, ডিএসসিসির বর্তমান প্রশাসন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ফুলবাড়িয়া মার্কেটের দোকানদারদের উচ্ছেদ করেছে। এটা কোনোভাবেই করা যায় না।

এ নিয়ে পুরান ঢাকায় মানুষের মুখে মুখে এখন তাপসের সমালোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেলুর ফাঁদে পা দিয়ে মেয়র তাপস ফেঁসে গেছেন। তাকে ভুল বুঝিয়ে মার্কেট ভাঙিয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করতে চায় দেলু। কারণ নতুন ভবন নির্মাণ হলে মার্কেট সমিতির এই নেতা দোকান বরাদ্দ দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবে। ’

রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ নকশাবহির্ভূত দোকানের বৈধতা দেওয়ার কথা বলে নেওয়া অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু। মামলার আরজিতে আসামিদের প্রায় ৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাঈদ খোকন দোকান বরাদ্দ দিলেও ডিএসসিসির বর্তমান প্রশাসন নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদ করেছে। এসব বিষয় নিয়ে গতকাল বুধবার টেলিফোনে করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।

দোকান উচ্ছেদের বিরোধিতা করে সাঈদ খোকন বলেছেন, ডিএসসিসির বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই মার্কেটের নতুন নকশা অনুমোদন করা হয় এবং সে অনুযায়ী বকেয়া অর্থ আদায় করে ফুলবাড়িয়া মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে ওই সব দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সাবেক মেয়র আরো বলেন, ‘তাপস (মেয়র ফজলে নূর তাপস) নিজে দেলুকে দিয়ে এই ধরনের নোংরামি করাচ্ছে, যার মাধ্যমে সে তার নিজের ও দলের (আওয়ামী লীগ) ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। ’

এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন দাবি করেন, মার্কেটটি থেকে পর্যাপ্ত রাজস্ব পেত না ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, কিন্তু দোকানদাররা ঠিকই চাঁদা দিয়ে যাচ্ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা নিয়ে ফুলবাড়িযা মার্কেট-২ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আবেদন করেন। তাঁর আবেদনে এবং আদালতের ওই নির্দেশনায় দোকানদারদের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বলা হয়।

তিনি দাবি করেন, ‘এই আবেদনের পর ডিএসসিসি বিষয়টি সম্পর্কে আইনগত মতামত জানতে তাপসের (মেয়র ফজলে নূর তাপস) খালাতো ভাই ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমানকে চিঠি দেয় এবং তাঁর (আইনজীবীর) মতামতের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বকেয়া আদায় করা হয়। ’

নতুন নকশার ফলে পার্কিং এলাকা এমনকি সিঁড়ির নিচেও কি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক মেয়র বলেন, ‘অন্যান্য মার্কেটের সঙ্গে ফুলবাড়িয়া মার্কেটের তুলনা করলে হবে না। এখানে কোনো ব্যক্তি বাইরে (পার্কিংয়ে) গাড়ি রেখে মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসেন না। এখানে হোলসেল ব্যবসা হয়। সারা দেশ থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এই মার্কেটে কেনাকাটা করেন। তাই এখানকার প্রতিটি ইঞ্চি জায়গার প্রচণ্ড মূল্য রয়েছে। ’

মামলার আবেদনে আপনার বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা উেকাচ গ্রহণের অভিযোগ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এই উেকাচের অর্থ চেকের মাধ্যমে গ্রহণ করেছেন—এমন প্রশ্ন করা হলে সাঈদ খোকন বলেন, ‘কারা টাকা দিয়েছে, কে টাকা নিয়েছে তার কিছুই আমি জানি না। আর আমার কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের কোনো লেনদেন হয়নি। ’

সাঈদ খোকনের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে আপনি দাবি করছেন মেয়র তাপস দেলুকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন, তাহলে বর্তমান মেয়রের বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে কোনো অভিযোগ করবেন কি না? জবাবে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এই সদস্য বলেন, ‘সভা আসুক, তখন দেখা যাবে। তার আগে দেখি মামলার কী হয়। ’

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST