1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
৫০ বছর পর চিলাহা‌টি-হল‌দিবাড়ী রেলসংযোগ চালু - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫ পূর্বাহ্ন

৫০ বছর পর চিলাহা‌টি-হল‌দিবাড়ী রেলসংযোগ চালু

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

অর্ধশতক পর নীলফামারীর চিলাহাটি এবং ভারতের কুচবিহারের হলদিবাড়ির মধ্যে রেল যোগাযোগের পথ খুললো। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে নতুন রেল যোগাযোগের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সফর বন্ধ থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লিতে তার দফতর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ বৈঠক শুরু হয়।  পরে দুই নেতার ভাষণের পরপরই দুপুর ১২টার দিকে ৫৫ বছর পর এই রেলসংযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা হয়।

১৯৪৭ সালের ১৫ অাগস্ট দেশভাগের পরও চিলাহাটি-হলদিবাড়ী পথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করত যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুদেশের মধ্যে রেল চলাচল।

২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুদেশের বন্ধ রেল সংযোগগুলো চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথও ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ অংশের ৯ কিলোমিটারে ব্রডগেজ রেললাইন ও অবকাঠামো নির্মাণে ৮০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়। অন্যদিকে, ভারতের অংশে সাড়ে তিন কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রকল্প নেয় ভারতের সরকার।

ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে দর্শনা হয়ে যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু আছে। খুলনা থেকে বেনাপোল হয়ে কলকাতায় চলাচল করে বন্ধন এক্সপ্রেস। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে দুই পথেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। আজ সেই সংযোগ চালু হলো।

নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ী সীমান্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬ দশমিক ৭২ কিলোমিটার অংশে রেললাইন বসানোর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ের ওই প্রকল্পে রেললাইন স্থাপন ছাড়াও বসানো হয়েছে ৪ কিলোমিটার লুপ লাইন, ৮টি লেভেল ক্রসিং, ৯টি ব্রিজসহ অন্যান্য অবকাঠামো।

ভারতও হলদিবাড়ী থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ করে তাদের অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

এ রেলপথ আবার চালু হওয়ায় বাংলাদেশের মোংলা বন্দর এবং উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ, নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম জোরদার হবে বলে সরকার আশা করছে।

সেই সেঙ্গ এই রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের দার্জিলিংসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে ভ্রমণ আরও সহজ হবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST