জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বুকিং দিয়েছে সরকার। প্রত্যেককে দুটি করে ডোজ দেয়া হবে। তিন কোটি ভ্যাকসিন তিন কোটি মানুষ পাবেন নাকি দেড় কোটি মানুষ পাবেন তা পরিষ্কার নয়। তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে যেন কোনো মহল বাণিজ্য করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে হবে।
আবার নকল ভ্যাকসিনে যেন সয়লাব না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে। শনিবার জাতীয় ছাত্রসমাজের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ইব্রাহীম খান জুয়েলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুস সালাম, মোস্তফা আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, হুমায়ুন খান, মাখন সরকার, আনোয়ার হোসেন তোতা, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, দফতর-২ এমএ রাজ্জাক খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক নুরু, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, ফয়সাল দিদার দিপু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সাত্তার গালিব, মো. ফারুক শেঠ, আলমগীর হোসেন ও মিজানুর রহমান দুলাল।
জিএম কাদের আরও বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন কিনতে পারবেন না। তাই সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি দুর্যোগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে বারবার বলা হয় সবকিছু প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়- সবকিছু এলোমেলো। তাই করোনা ভ্যাকসিন পরিবহন, সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কারা টিকা পাবেন সেটির তালিকাও প্রস্তুত করা জরুরি।
জিএম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু সংবিধানের ৭০ ধারা সংসদীয় গণতন্ত্রকে সংসদীয় স্বৈরতন্ত্রে পরিণত করেছে। ৭০ ধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারেন না। এতে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, যা স্বৈরতন্ত্রে রূপ নেয়। তিনি আরও বলেন, বিএনপি যৌথ বাহিনী এবং র্যাব গঠন করার মাধ্যমে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালু করেছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনও চলছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির শাসনামলে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ছিল না। আমরা দেশের মানুষকে কোনো স্বপ্ন দেখাচ্ছি না, আমরাই সুশাসন ও আইনের শাসন উপহার দেব।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দেশের ছাত্র রাজনীতি কলুষিত করেছে। ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের লেজুড়বৃত্তি করতে বাধ্য হচ্ছে। ছাত্রদের দলবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দায়ী। এরশাদের শাসনামলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতো। কিন্তু বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে নেতৃত্ব তৈরির ধারাবাহিকতা বন্ধ করেছে। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছাত্র সমাজকে আন্দোলনমুখী হতে আহ্বান জানান।
জেএন