1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
এএসপির মৃত্যু : মাইন্ড এইড হাসপাতালে ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৫:২৪ অপরাহ্ন

এএসপির মৃত্যু : মাইন্ড এইড হাসপাতালে ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা  ডেস্ক: রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দায়ের করা এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাসপাতালটির ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ।

এর আগে আনিসুল করিম শিপনের বাবা বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৯। আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার ১০ জনের নাম প্রকাশ করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটার রোদোয়ান সাব্বির (২৩), কিচেন শেফ মো. মাসুদ (৩৭), ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হোসেন (১৮), ওয়ার্ড বয়- জোবায়ের হোসেন (১৯), ওয়ার্ড বয় তানিফ মোল্লা (২০), সজীব চৌধুরী (২০), অসীম চন্দ্র পাল (২৪), মো. লিটন আহাম্মদ (১৮) এবং মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)।

গতকাল মানসিক সমস্যায় ভুগে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম। ভর্তির পর তাকে একটি কক্ষে নিয়ে ফ্লোরে ফেলে চেপে ধরেন হাসপাতালের কর্মচারীরা। মারধরের চার মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় মারধরের দৃশ্যটি।

করিমের পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির পরপর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় ওই হাসপাতাল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। তাকে হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরও দুজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরেন। এ সময় মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই তার শরীর নিস্তেজ ছিল। একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটান। তাতেও আনিসুল করিম নড়াচড়া করছিলেন না। তখন কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তার বুকে পাম্প করেন সাদা অ্যাপ্রোন পরা নারী।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।

৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আনিসুল সর্বশেষ বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।

জে এন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST