রাজশাহীর পুঠিয়ায় অপারেশন টেবিলে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় আল-মাহদী ক্লিনিক সীলগালা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। পাশাপাশি অবাবস্থাপনা কারণে ক্লিনিক মালিক মুনসুর রহমানকে দু’মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
প্রসূতির স্বামী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীকে অপারেশন টেবিলে নেয়ার আগে তার প্রসব ব্যথা ছাড়া শারীরিক ভাবে সে সুস্থ ছিল। পূর্বেও তার কোনো রোগ ছিল না। একমাত্র ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের অবহেলায় আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত রাত থেকে সদ্য জন্ম নেয়া সন্তান স্ত্রীর লাশ ময়না তদন্ত ও দাফন নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছি। আর মামলা দায়েরের বিষয়টি আমরা পারিবারিক ভাবে বসে সিদ্ধান্ত নিব।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাসমত আলী বলেন, প্রসুতি মৃত্যুর ঘটনায় ভূক্তভোগি পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করেননি। আর আমাদের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিভূক্ত করে গতরাতে লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ (২৯ অক্টোবর) সকালে লাশের ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ভূক্তভোগির পরিবার চাইলে থানায় মামলা করতে পারেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় গতরাতে ওই ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। ক্লিনিকে অবাবস্থাপনার কারণে মালিককে দু’মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ক্লিনিকটি সীলগালা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিকেলে উপজেলা সদরে অবস্থিত আল-মাহদী ক্লিনিকে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন দুর্গাপুর উপজেলার পালসা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী শাবানা বেগম (২৫)। এরপর সন্ধ্যার দিকে সিজার করে বা”চা প্রসব করাতে গিয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় অপারেশন টেবিলে তার মৃত্যু হয়।
জে এন