1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীতে যুবককে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে যুবককে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে এক যুবককে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করা হয়েছে। মনিরুজ্জামান মান্না (২৯) নামের এই যুবক বর্তমানে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দুই মাস ধরে কারাগারে। গত ৬ আগস্ট এক তরুণী তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মান্নার বাড়ি নগরীর দরগাপাড়া এলাকায়। তিনি ব্যবসা করেন। আর ওই তরুণীর বাড়ি নগরীর বহরমপুর এলাকায়।

সংবাদ সম্মেলনে মান্নার মা হাসিবা পারভীন বলেন, ২০১৫ সাল থেকে মেয়েটির সঙ্গে তার ছেলের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক ছিল। এ সুযোগে মেয়েটি তার ছেলের কাছ থেকে দামি দামি উপহারসহ মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। সে মান্নাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। বিয়ের করতে চাইত। কিš‘ মান্না জানতে পারে মেয়েটির একাধিক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এ জন্য মান্না তাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। কিš‘ মেয়েটি তাকে নানাভাবে হুমকি দিত। এ জন্য ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল মান্না নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল। এরপর থেকে তাদের যোগাযোগ বন্ধই ছিল। হঠাৎ এ বছরের ৬ আগস্ট থানায় মামলা করে সে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মান্নার সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই তরুণী ৫টি মোটর সাইকেলে ১২ জন অপরিচিত যুবকদের সাথে নিয়ে বাসায় আসেন। এ সময় মান্নার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। বাসা থেকে ওই তরুণী তার বন্ধুদের নিয়ে চলে যাওয়ার সময় মান্নাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরপরের দিন মান্না ও তার বোন শিলার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মান্নাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে মামলায় ধর্ষণের তারিখ হিসেবে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই সময় মান্না চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে অব¯’ান করছিলেন।

তাছাড়া মামলায় শামিম নামে ব্যক্তির ভাড়া বাসাকে ধর্ষণের ¯’ান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ বোয়ালিয়া থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করতে গেলে ওই বাসার মালিক জানিয়েছেন, তার বাসায় শামিম নামে কোন ভাড়াটিয়া ছিলেন না। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত ভার গ্রহণ করে। তদন্ত শেষে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে। সেখানেও মামলার বাদির ঘটনার তারিখ নিয়ে রহস্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। আর তার মেডিকেল রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, তার সাথে জোরপূর্বক কোন ধরনের যৌন সম্পর্ক ¯’াপনের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

হাসিবা পারভীন বলেন, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আমার ছেলে জেলহাজতে আছে। আমরা সমাজের কাছে প্রতিনিয়ত হেয় প্রতিপন্ন হ”িছ। আর মামলার বাদী বিভিন্ন সময় আমাদের পুরো পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছে। আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, সরকার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদÐ করেছে। আমরাও চাই ধর্ষকদের ফাঁসি হোক। কিš‘ যারা ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করবে তাদেরও ফাঁসি চাই। একজন নারী হলেও আমি এটা চাই।

মামলার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ওই তরুণী দাবি করেন, মান্না বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছেন। তাই তিনি মামলা করেছেন। মামলা সত্য। এজাহারে উল্লেখ করা ধর্ষণের সময় আসামি বিদেশে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। আর মেডিকেল রিপোর্টের বিষয়ে বলেছেন, রিপোর্ট দেয়া হয়েছে চারদিন পর। সে কারণে এমন রিপোর্ট হয়েছে।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST