খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক: ধর্ষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সারা দেশে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি থেকে আওয়াজ উঠছে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের। সেই সঙ্গে ধর্ষকদের প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার দাবি করা হয় বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ অংশ নেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। রাজধানীর শাহবাগ, ধানমণ্ডি, সিদ্ধেশ্বরী, বারিধারার প্রগতি সরণিসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে গতকাল।
সকাল ১১টার পর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় ধর্ষণ ও নিপীড়ন বন্ধে সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে আজ শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘মহাসমাবেশে’র ডাক দিয়েছে ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’র নেতৃবৃন্দ।
তার আগে একই ইস্যুতে মহাসমাবেশ’র ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র জনতার মঞ্চ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একইভাবে আজ বিকালে সারা দেশে সব শহীদ মিনারে ধর্ষণবিরোধী সমাবেশের ডাক দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’র গতকালের কর্মসূচি থেকে সবাইকে আজকের মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় জননিরাপত্তা দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যর্থ উল্লেখ করে অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা এখানে বিচারহীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি। এমন নিশ্চয়তা নেই যে, কাল আমাদের মা, বোন বা অন্য কেউ ধর্ষণের শিকার হবে না। এ সময় দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
খবর২৪ঘন্টা/নই